ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)-এর প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ঘোষণা করেছেন যে, ১ জুন ২০২৫ থেকে ঢাকা শহরের খাল, লেক, উন্মুক্ত স্থান ও মাঠে ব্যাপক উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরু হবে। ইতিমধ্যে নগরীর জন্য ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে, এবং উদ্ভিদবিদদের পরামর্শে খাল ও লেকের পাড়ে উপযুক্ত গাছ লাগানো হবে।

খাল সংরক্ষণ ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

• খাল খননে সাশ্রয়ী ব্যয়: পূর্বে ১০০ কোটি টাকা খরচ হলেও দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যেত না। বর্তমানে ১০০ কিলোমিটার খাল পরিষ্কারে ১০ কোটি টাকারও কম ব্যয় হচ্ছে।
• স্বেচ্ছাসেবক ও মালী নিয়োগ: ঢাকার ৩৩টি খালের রক্ষণাবেক্ষণ ও সবুজায়নের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতি কিলোমিটারে একজন মালী নিয়োগ করা হবে।
• প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ: প্লাস্টিক ফ্রি রিভারস অ্যান্ড সীস ফর সাউথ এশিয়া (PLEASE) প্রকল্পের আওতায় কালিয়ানপুর খালে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ভাসমান বর্জ্য শ্রেণীবিন্যাস করে উৎসে নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

জলাবদ্ধতা রোধে চ্যালেঞ্জ

ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন জানান, ঢাকায় ১,২০০ কিলোমিটার ড্রেনেজ সিস্টেম থাকলেও খালের প্রবাহ মাত্র ৮৬ কিলোমিটার। প্লাস্টিক ও আবর্জনা জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে, যা নগরবাসীর জন্য সমস্যা বাড়াচ্ছে।

সহযোগিতার আহ্বান

• নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের উপদেষ্টা ড. শিবলী সাদিক বলেন, পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় সরকার, জনগণ, বেসরকারি খাত ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
• ডিএনসিসির সিইও আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান পাউডারের মাইক্রোপ্লাস্টিক যেন জলাশয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দেন।

এই উদ্যোগগুলো ঢাকার পরিবেশ উন্নয়ন ও টেকসই নগর ব্যবস্থাপনার দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।