ঢাকাশুক্রবার , ৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নির্বাচনপূর্ব সংস্কার বাস্তবায়নে জোরালো তাগিদ ইইউ রাষ্ট্রদূতের

Link Copied!

ঢাকা, ৫ মে ২০২৪ — “বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ সম্পূর্ণভাবে দেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত,” তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আগামী দিনগুলোতেই বাস্তবায়ন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব)-এর এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

সংস্কারের তাগিদ

রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, “নির্বাচনী ব্যবস্থায় সকলের আস্থা বাড়াতে রাজনৈতিক দলগুলো এবং প্রাসঙ্গিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।” তিনি উল্লেখ করেন, ইইউ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত, তবে নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাঁর প্রধান সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাখা।
  • সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পরিবেশ তৈরি করা।
  • আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করা।

গণ-আন্দোলনে নিহতদের বিচার

গত জুলাই মাসের রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ও আহতদের বিষয়ে মিলার বলেন, “ঘটনাগুলোর স্বচ্ছ তদন্ত এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

রাখাইনে মানবিক সহায়তা

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিলার বলেন, “রাখাইনে মানবিক সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।” তিনি উভয় পক্ষের ভুক্তভোগীদের সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অর্থ পাচার রোধ

ইইউ থেকে বাংলাদেশের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, “এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আইনি সহযোগিতা বাড়াতে হবে এবং প্রমাণাদি সরবরাহ করতে হবে।”

সংস্কারের ‘সুযোগ’ কাজে লাগানোর আহ্বান

মিলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে “সংস্কারের একটি বড় সুযোগ” হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “এই মুহূর্তটি কাজে লাগাতে হবে। নাগরিকদের প্রত্যাশা পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”

ইইউ রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্য বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক সংস্কার নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সতর্ক পর্যবেক্ষণ নির্দেশ করে। যদিও তিনি সরাসরি হস্তক্ষেপের কথা বলেননি, তবুও স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন। আগামী দিনগুলোতে সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সংলাপ বাড়ানোই হতে পারে এই সংকট সমাধানের মূল উপায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিকাব সভাপতি এ.কে.এম. মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।