কক্সবাজারে দেশী বিদেশী পর্যটকদের সুবিধার্থে ট্যুরিস্ট পুলিশ ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেণ্টার চালু করেছেন। ওই সার্ভিস সেণ্টারে যোগাযোগ করলে দেশের যে কোন এলাকা থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারে গেলে ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল সহযোগীতা পাবেন।
পর্যটক সেবা সহজীকরণ করতে কক্সবাজার টুরিষ্ট পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের সামনে কন্ট্রোর রুম চালু করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতের লাবনী বীচ সংলগ্ন ট্যুরিষ্ট পুলিশের কার্যালয়ের সামনে কন্ট্রোল রুম থেকে সেবা দেয়া হচ্ছে। জরুরি দরকার হলে কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বরে ০১৩২০১৬০০০০ যোগাযোগ করলে সেবা কার্যক্রম পাবেন।
কক্সবাজার রিজিয়নের টু্যৃরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান সংবাদকে জানান, কোন পর্যটক কক্সবাজার গিয়ে যদি হোটেল রুম বুকিং করতে সহায়তা চায়। তাও করে দেয়া যাবে। জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরতে যেতে কেউ মাইক্রোবাস,পিকআপ,অটোরিকশা (টম) ভাড়া করতে সহযোগীতা চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগীতা করা হবে।
এমনকি পর্যটকরা কোন হোটেলে ভাত-নাস্তা খাইলে তাদের (পর্যটক) সুবিধা হবে সব কিছুই পর্যটকদের জানিয়ে গাইডলাইন দেয়া হবে। পর্যটকরা কক্সবাজারে গিয়ে যোগাযোগ করলে ট্যুরিস্ট পুলিশ সেবা দিবে। সেবার মান এখন প্রতিদিন বাড়ানো হচ্ছে।
ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেণ্টার থেকে ফোনে সংবাদকে জানানো হয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েণ্ট, সেণ্টমার্টিন, ইনানী, হিমছড়ি, পাথরের রানী ও পাটুয়ারটেক, টেকনাফসহ ১১টির বেশী পয়েণ্টে পর্যটকরা গিয়ে কোন সমস্যায় পড়লে তাৎক্ষণিক সেবা দেয়া হয়। ট্যুরিষ্ট পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করলে সেখান থেকে সহায়তা পাওয়া যাবে। টার্গেট পর্যটকদের ভ্রমণকে সহজীকরণ ও নিরাপদ করার জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, আসছে শীত মৌসুমে কক্্রবাজার সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট গুলোতে দেশী বিদেশী কয়েক লাখ পর্যটক যাবেন। সেখানে পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে ৪শর বেশী আবাসিক হোটের ও গেস্টরুম আছে। পর্যটকরা হোটেলে অবস্থান নিয়ে সৈকত ছাড়াও সেণ্টমার্টিন, টেকনাফসহ বিভিন্ন স্পটে বেড়াতে পারবেন। আর পর্যটকদের নিরাপত্তায় এখন সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন স্পট গুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগ রয়েছে,রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহর থেকে ছুটির দিনে ঈদ কিংবা পূর্জাসহ বিভিন্ন ছুটির সময় নানা পেশার হাজার হাজার পর্যটক পর্যকবাজারে ছুটে যান। আসছে পর্যটন মৌসুমে নতুন আকর্ষণ কক্্রবাজারে রেল চালু করা হরবে। চলতি বছর তা আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে। এই জন্য অত্যাধুনিক রেল স্টেশন তৈরী করা হয়েছে। আর কক্্রবাজার বিমানবন্দরকে আরও উন্নত করা হয়েছে। ফলে এই বছর কক্্রবাজারে পর্যটকদের সমাগম অনেক বেশী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার কারনে এখন কক্্রবাজার সমুদ্র সৈকত এখন দেশী বিদেশীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।