ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল অভিযানের আগে শুরু হয়েছে উদ্বোধনী ম্যাচ। এবার উদ্বোধনী ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ, যিনি সৈকত নামে বেশি পরিচিত। এছাড়া অন ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে পাঁচটি ম্যাচ পরিচালনা করবেন তিনি।
শরফুদ্দৌলাই প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার, যিনি বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পেলেন। ৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে প্রথমবার অন ফ্লিড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ।
বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় শরফুদ্দৌলা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমার মনে হয় দেশের প্রতিনিধিত্ব করা সবসময় সম্মানের। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পেয়েও আমার তেমনই অনুভব হচ্ছে। আশা করবো, এটাই শেষ হবে না, বরং অনেককিছুর শুরু হবে।’
বিশ্বকাপে তার সুযোগ পাওয়ায় বাংলাদেশের অন্য আম্পায়ারদের প্রতিও আগ্রহ তৈরি হবে বলে মনে করেন ১৯৯৪ সালে আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে খেলা শরফুদ্দৌলা।
২০০১ সালে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে মাত্র এক মৌসুম খেলার পর পিঠে ইনজুরির কারণে সাবেক অফস্পিনার শরফুদ্দৌলাকে খেলা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিতে ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে আম্পায়ার হতে বিসিবির সেই চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত নয়টি টেস্ট, ৫৪টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও ৪৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন ৪৬ বছর বয়সি শরফুদ্দৌলা।
২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পেলেও বাংলাদেশের কোনো আম্পায়ার এখনও আইসিসির এলিট আম্পায়ার হতে পারেননি। ‘টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরুর পর একটা ধারণা ছিল যে, আম্পায়াররা বিদেশ থেকে আসবেন, আমরা শুধু খেলবো। এই ধারণায় পরিবর্তন এসেছে। আমাদের এখন কয়েকজন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার আছেন। আশা করবো, আরও আম্পায়ার তৈরি হবে। তারা শুধু বিশ্বকাপ নয়, আরও অনেক টুর্নামেন্টে ম্যাচ পরিচালনা করবেন,’ বলেন শরফুদ্দৌলা।
যেসব ম্যাচে অন ফিল্ড আম্পায়ার থাকবেন:
৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা
১৫ অক্টোবর ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান
২৫ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া-নেদারল্যান্ডস
২৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড
৩ নভেম্বর নেদারল্যান্ডস-আফগানিস্তান
উদ্বোধনী ম্যাচসহ তিনটি ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ার ও আরও তিনটি ম্যাচে টেলিভিশন আম্পায়ার হিসেবেও থাকবেন শরফুদ্দৌলা।