সার্ভার জটিলতায় সারা দেশে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে অনলাইনে জন্ম ও মুত্যু নিবন্ধন সেবা। তাই ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখ লাখ সেবাগ্রহীতা। এর মধ্যেই আজ পালিত হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস। যদিও সার্ভার জটিলতার বিষয়টিই অস্বীকার করছে রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়।
গত জুলাইয়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভার থেকে লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁস হয়। এরপর কিছুদিনের জন্য অনলাইনে সেবা পেতে আবেদন করার সুযোগ বন্ধ করে দেয় রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়। পরে আবেদন নেয়া শুরু হলেও গত তিন মাস থেকেই সার্ভারের নানা রকমের জটিলতায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ঢাকার বাইরে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে এই সেবা দেয়া হয়।
ঢাকায় উত্তর সিটির জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের কাজ আগে হতো আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে। অন্তত একমাস আগে এটি ওয়ার্ড পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পুরোপুরি সরিয়ে নেয়া হয়নি এখনো।
এদিকে, প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর নিজস্ব সার্ভার তৈরি করে আঞ্চলিক কার্যালয় পর্যায়ে আবারো অনলাইনে জন্মনিবন্ধন সেবা চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
কিন্তু ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, জন্মনিবন্ধনের আবেদন করা গেলেও মৃত্যু নিবন্ধনের আবেদন করা যাচ্ছে না। আবার এই সিটির অঞ্চল-৩ এর কার্যালয়ে গিয়ে জন্ম নিবন্ধনের কোন কাজ হতে দেখা যায়নি।
সার্ভার জটিলতার বিষয়টিকে পুরোপুরি অস্বীকার করে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাশেদুল হাসান বলেন, মেরামত কাজে মাঝে মাঝে সামান্য জটিলতা হলেও হতে পারে। পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ভিসা আবেদনসহ ১৯টি নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।