ঢাকারবিবার , ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রখ্যাত বাউল সংগীত শিল্পী আবদুর রহমান বয়াতীর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

DailyNews24BD
আগস্ট ১৯, ২০২০ ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মন আমার দেহঘড়ি সন্ধান করি…………..এই গানটা শুনলেই মনে পড়ে একজন বয়াতীকেই । তিনি আমাদের দেশ বরেণ্য শিল্পী আবদুর রহমান বয়াতী। দেহঘড়ির সন্ধান করতে করতে যিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান ২০১৩ সালে, না ফেরার দেশে । তাঁর মৃত্যুর সময় আরেক বয়াতী, লোকগানের শিল্পী, পালাকার আবদুল কুদ্দুস বয়াতী ক্ষোভের সঙ্গে বলেছিলেন : ‘দয়া করে কেউ যেন, মরণের পরে আমাদের মালা দেবেন না। এরচেয়ে বেঁচে থাকতে পেটে কিছু ভাত দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।’’ আমরাও আশা করবো আমাদের বাউল গানের শিল্পীরা দু’মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে যাতে জীবনযাপন করতে পারেন।

আবদুর রহমান বয়াতীর সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি :
আব্দুর রহমান বয়াতী (জন্ম: ১৯৩৯ – মৃত্যু: ১৯ আগস্ট, ২০১৩) ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রসিদ্ধ লোকসঙ্গীত শিল্পী। তিনি একাধারে অসংখ্য জনপ্রিয় লোকগানের শিল্পী, গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক৷ শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০১৫ সালে একুশে পদক লাভ করেছেন।১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ ভারতের ঢাকার সূত্রাপুর থানার দয়াগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন আবদুর রহমান বয়াতী।

১৯৮২ সালে ‘আবদুর রহমান বয়াতি’ নামে বাউল দল গড়ে তোলেন। তিনি দোতারা, হারমোনিয়াম, খঞ্জনি ও ভায়োলিন বাজাতেন পারতেন। তিনি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, কানাডা, চীন, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ৪২টি দেশ বাউল গান পরিবেশন করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি গান গেয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের বিশেষ গ্রেডের শিল্পী ছিলেন।

তাঁর প্রায় পাঁচশ একক গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি মিশ্র অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে : ‘মন আমার দেহঘড়ি সন্ধান করি কোন মিস্তরি বানাইয়াছে’, ‘আমি ভুলি ভুলি মনে করি প্রাণে ধৈর্য্য মানে না’, ‘আমার মাটির ঘরে ইঁদুর ঢুকেছে’, ‘মরণেরই কথা কেন স্মরণ কর না’, ‘মা আমেনার কোলে ফুটল ফুল’, ‘ছেড়ে দে নৌকা মাঝি যাবো মদিনা’, এরকম অসংখ্য গান তিনি রচনা করেছেন, সুর করেছেন ও গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের মন জয় করেছেন।

১৯৮৯ সালে হাফিজুদ্দিন পরিচালিত ‘অসতী’ নামে একটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন তিনি।

১৯ আগস্ট ২০১৩ সালে রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডের জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

২০১৫ সালে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে বাংলাদেশ সরকার মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করেন।