ঢাকারবিবার , ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জান্তা জেনারেলসহ শতাধিক মিয়ানমার সেনাকে আটক করেছে আরাকান আর্মি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | ডেইলিনিউজ২৪বিডি.কম
ডিসেম্বর ১২, ২০২৪ ৫:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিস্তারিতঃ মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সংঘর্ষের অংশ হিসেবে শক্তিশালী বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ) শতাধিক মিয়ানমার সেনাকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে একজন উচ্চপদস্থ জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এই ঘটনা ঘটেছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি জানায়, রাখাইন রাজ্যের উত্তরের সংঘর্ষপূর্ণ এলাকাগুলোতে অভিযান চালানোর সময় সেনাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে জান্তা সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ইউনিটের জেনারেল এবং তার সাথে থাকা কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

আরাকান আর্মি মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রাখাইন জনগণের স্বার্থে স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে। তারা দাবি করেছে: “জান্তা সরকারের নিপীড়নমূলক শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিরোধ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এ ঘটনার বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, জান্তা সরকার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে।

রাখাইন রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম আরও তীব্র হয়েছে।
সামরিক জান্তা সরকারের নিপীড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সংঘর্ষে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা বেড়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা জান্তা সরকারের সামরিক ক্ষমতার ওপর একটি বড় আঘাত। এতে জান্তার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়তে পারে এবং রাখাইনের মতো সংঘর্ষপূর্ণ অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হতে পারে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘ এবং আসিয়ান, মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংকট এবং সামরিক জান্তার দমন-পীড়ন বন্ধে বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ঘটনার পর মানবিক সহায়তা এবং মধ্যস্থতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছে।

কয়েক সপ্তাহ আগেই আরাকান আর্মি একটি সামরিক ঘাঁটিতে বড় ধরনের হামলা চালায়। সংঘর্ষে মিয়ানমারের বেশ কিছু সেনা নিহত এবং বিদ্রোহীরা বড় ধরনের অস্ত্র ও সরঞ্জাম দখল করে।

আরাকান আর্মির এই অভিযান জান্তা সরকারের সামরিক শক্তির ওপর বড় চাপ সৃষ্টি করেছে। রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষের এই নতুন মাত্রা মিয়ানমারের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও অস্থির করে তুলতে পারে।