গত বছর প্রায় আট ফুট উঁচুতে লাফিয়ে উঠে হেড থেকে দুর্দান্ত গোল করেছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। হেড থেকে বিশ্বের অনেক খেলোয়াড় চোখ ধাঁধাঁনো গোল করে থাকেন প্রায়ই। তবে কয়েক বছর পর ফুটবলে আর হেড নামক কোন বিষয় আর নাও থাকতে পারে। তরুণ বয়সে হেড থেকে দুর্দান্ত সব গোল করলেও, একটু বয়স হয়ে গেলেই মাথার সমস্যায় ভোগেন অনেক ফুটবলার। এমনকি স্মৃতি শক্তিও হারিয়ে ফেলেন অনেকে। আর তাই হেডকে ফুটবল থেকে উঠিয়ে দেয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে। আর একটি ফুটবল ম্যাচ হেড ছাড়া কেমন হবে সেটি পরীক্ষা করতে যাচ্ছে একদল ইংলিশ গবেষক। খবর ডেইলি মেইল।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের স্পিন ম্যুরে সাবেক পেশাদার ফুটবলারদের নিয়ে আয়োজন করা হবে হেডবিহীন এ ম্যাচটি। ম্যাচটির আয়োজক ‘হেড ফর চেঞ্জ’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। তারা একটি জনকল্যাণমূলক সংস্থা। আর এ প্রতিষ্ঠানটির এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন কিংবদন্তি গ্যারি লিঙ্কার, অ্যালান শেরারের মতো ফুটবলাররা।
হেডবিহীন বিশেষ এ ফুটবল ম্যাচটির প্রথমার্ধে শুধুমাত্র ডি বক্সের ভেতর হেড করার সুযোগ পাবেন খেলোয়াড়রা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে কোন হেড করতে পারবেন না তারা। হেড করলেই রেফারি সেই খেলোয়াড়কে সতর্ক করে দিবেন।
ম্যাচটিতে ১৯৭০, ১৯৮০ ও ১৯৯০ দশকের কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর মধ্যে যারা খেলতে সক্ষম তাদের খেলার সুযোগ দেয়া হবে।
এর মাধ্যমে ফুটবলের ইতিহাসে হেড ছাড়া এবারই প্রথমবারের মতো কোন ম্যাচ আয়োজন হবে। ম্যাচটি প্রত্যক্ষ করতে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. উইলি স্টেওয়ার্ট ও তার দল মাঠে থাকবেন।
কয়েকদিন আগে ড. উইলি তার এক গবেষণায় জানিয়েছে ডিফেন্ডাররা জীবনের শেষ দিকে স্মৃতিভ্রম রোগসহ মাথার জটিল রোগে ভোগেন। কিন্তু কোন দলের গোল রক্ষকের ক্ষেত্রে এমন কোন সমস্যা হয় না। কারণ ডিফেন্ডাররাই সবচেয়ে বেশি হেড করে থাকেন। তাই তিনি ফুটবল থেকে হেড উঠিয়ে দেয়া উচিত বলে মনে করেন।