ঢাকাসোমবার , ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রসঙ্গ অনলাইন ব্যবসা

DailyNews24BD
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১ ১১:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শেখ শাহরিয়ার হোসেন  ।। পণ্য বিনিময় প্রথার সময় পার করে মানুষ এখন অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে। দিন যত যাচ্ছে মানুষ ততই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশের ক্রেতারাও ক্রমেই অভ্যস্ত হচ্ছে ঘরে বসে কেনাকাটায়। অনলাইন কেনাকাটায় গ্রাহক তার প্রয়োজনীয় পণ্য যে কোনো স্থান থেকে ক্রয় করতে পারেন এবং ক্রয়কৃত সেই পণ্যের মূল্য ই-কারেন্সির মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারেন। ই-কমার্সের অন্তর্ভুক্ত এই অনলাইন সেক্টরগুলো খুব সহজেই গ্রাহকের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

অনলাইনে ব্যবসা ও কেনাকাটার সবচেয়ে বেশি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে করোনার এ সময়ে। পুরো বিশ্ব যখন ঘরবন্দি, তখন অনলাইনে পণ্য অর্ডার করে কাঙ্ক্ষিত পণ্য হাতে পান গ্রাহক। আগে অনলাইনে শুধু জামাকাপড়, বই ও খাদ্যদ্রব্য বিক্রি হলেও বর্তমানে কুরবানির পশু থেকে শুরু করে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় সব ধরনের পণ্য, যা গ্রাহকদের অনলাইননির্ভর করে তুলছে।

অনলাইনে শপিং করা ক্রেতাদের জন্য সময়সাশ্রয়ী ও নিরাপদ হলেও বেশকিছু কারণে আস্থা হারাচ্ছেন ক্রেতারা। গ্রাহক পণ্য অর্ডার করলে অর্ডারকৃত সেই পণ্য অনুযায়ী ডেলিভারির তারিখ নিশ্চিত করা থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ অনলাইন বিক্রেতা তাদের এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেন না। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা পণ্যের মূল্যের ওপর বড় অঙ্কের ছাড়ের কথা বলে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। অনলাইনে যেহেতু পণ্য সরাসরি দেখার সুযোগ নেই, তাই কম মূল্যের প্রলোভনে পড়ে শুধু ছবি দেখেই অর্ডার নিশ্চিত করেন ক্রেতারা। কিন্তু ডেলিভারির সময় দেখা যায় গ্রাহক তার অর্ডারকৃত পণ্য পাননি। বেশিরভাগ অনলাইন বিক্রেতার নির্দিষ্ট কোনো দোকান না থাকায় ক্রেতারা এ বিষয়ে অভিযোগ করে তেমন প্রতিকারও পান না। বেশিরভাগ অনলাইন বিক্রেতা ক্রেতাদের কাছে পণ্য পৌঁছানোর আগেই অগ্রিম অর্থ সংগ্রহ করে। পরবর্তী সময়ে অনেক বিক্রেতা জানায়, তাদের অর্ডারকৃত পণ্যগুলো শেষ হয়ে গেছে; আর তাই সেটা পাঠানো সম্ভব নয়। অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতারা তাদের দেওয়া অর্থ ফেরত পর্যন্ত পান না। এভাবেই বহু ক্রেতা প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন। অনেকে প্রতারণামূলকভাবে ভোক্তার অর্থ হাতিয়েও নেয়।

অনলাইন বাজারের বেশিরভাগই ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজ থেকে পরিচালিত হয়। তাই ক্রেতারা পণ্য ক্রয় করার আগে যদি এসব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে খোঁজ নেন এবং রিয়েল অ্যাকাউন্ট দিয়ে করা রিভিউগুলো পড়েন, তাহলে প্রতারণা থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। আর ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট বেছে নিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে ওয়েবসাইটটি ক্লোন (অন্য ওয়েবসাইটের মতো একই চেহারার) করা কিনা।

চেষ্টা করতে হবে পণ্য হাতে পেয়ে তারপর মূল্য পরিশোধ করতে। দেশে অনলাইন ব্যবসা নিয়ে কাজ করছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। ই-ক্যাবের নিবন্ধিত অনলাইন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ৩০০।

তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা আছে। অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা থেকে বাঁচতে ক্রেতাদের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পণ্য ক্রয় করা উচিত, যাতে করে ক্রেতা কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে সহজে ব্যবস্থা নিতে পারেন। বিশ্বের সেরা ধনীদের অনেকেই অনলাইন ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও ই-কমার্স একটি সম্ভাবনাময় খাত। এ খাত দ্বারা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে প্রয়োজন স্বচ্ছতা ও সঠিক নীতিমালা।