বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে এখনও চড়া দামে জ্বালানি তেল বিক্রি হচ্ছে । এদিকে জ্বালানি বিভাগ বলছে, বিশ্ববাজার পর্যবেক্ষণ করে দাম কমানো যায় কিনা, বিপিসির কাছে সে প্রস্তাব চেয়েছে মন্ত্রণালয়। গেল একমাসে প্রতি ব্যারেলে ২২ শতাংশ দাম কমেছে এবং পূর্বাভাস, এ ধারা অব্যাহত থাকবে আরও কিছু দিন। তবে এখনই দেশে দাম না কমালে অর্থনীতি ও জনজীবনে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
অক্টোবরে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৯০ ডলার। নভেম্বরের শুরুতে তা আমদানিতে ৯৭ ডলার পর্যন্ত গুনতে হয়েছে বিপিসিকে। চড়া সেই দামের কারণে লোকসান কমাতে এক লাফে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করে সরকার। এখন প্রতি ব্যারেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ৭০ ডলারের মত। ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পূর্বাভাস বলেছ, দাম কমতে পারে আরও কিছুটা। ইউএনডিপি, ঢাকার প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলছেন, বর্তমান বিশ্ববাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে দাম না কমালে তার বহুমাত্রিক প্রভাব পড়বে জনজীবনে।
বিশ্ববাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে দাম বাড়ানো হলেও তা এখনও তা কমায়নি সরকার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, কৌশলগত এই পণ্যের বাজার স্পর্শকাতর। দুতিনমাসে দাম কোথায় দাড়াবে তা আগে বুঝতে চায় সরকার। জানালেন, তেলের দাম সমন্বয়ে টেকসই কাঠামো নির্ধারণের কথাও ভাবছে জ্বালানি বিভাগ।