বুধবার সন্ধ্যার পর হঠাৎই ছড়িয়ে পড়ে, এফডিসিতে মিটিং করে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠন। এই নায়কের সঙ্গে কোনো কাজ তারা করবে না, কেউ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এমন খবরও ছড়ায়। পরবর্তীতে হাওয়া থেকে পাওয়া এই তথ্য দিয়ে দেশের অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো খবরও প্রকাশ করে।
সোহানের কথায়, ‘মঙ্গলবার আমরা ১৮ সংগঠনের প্রধান নেতারা বসেছিলাম। আমাদের মধ্যে কাউকে বয়কট সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের ১৮ সংগঠনের মুখপাত্র আলমগীর ভাই এ বিষয়ে আগামী ১৪ তারিখে ব্রিফ করবেন। এর মধ্যে জায়েদ খানকে কেন্দ্র করে আমাদের নামে কোনো গুজব ছড়ালে ব্রিবতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। আমরা বুঝেশুনেই সিদ্ধান্ত নিব।’
এর আগে বুধবার সন্ধ্যার পর প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুর একটি বক্তব্য দিয়ে খবর প্রকাশ হয়। সে সব খবরে খসরুর বক্তব্য ছিল এরকম, ‘জায়েদ খান আমাদের কোনো সংগঠনকেই মানেন না। সিনিয়রদের সমীহ করেন না। যেহেতু তিনি নিজের মেজাজ-মর্জি মতো চলেন, তাই সংগঠনগুলোরও তাকে আর দরকার নেই। আমরা কেউ তার সঙ্গে কাজ করব না। কেউ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।’
কিন্তু রাত পেরিয়ে সকাল হতেই নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহানের মুখে ভিন্ন সুর। তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ ঝামেলা বাধানোর জন্য জায়েদ খানকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়াচ্ছে। সবাইকে সতর্ক করতে চাই। আমাদের মুখপাত্র হিসেবে আলমগীর ভাই আছেন। তিনি যদি কোনো দিন বলেন বয়কট তাহলে বয়কট। এটা বোঝানোর জন্য বললাম। জায়েদকে বয়কটের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
ভোটের দিন থেকেই জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আসছেন ১৮ সংগঠনের নেতারা। গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। সেদিন প্রার্থী, ভোটার এবং নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী লোকজন ছাড়া এফডিসির ভেতরে কেউ ঢুকতে পারেনি। কয়েকজন পরিচালক ও প্রযোজক ঢুকতে গেলে তাদের লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ।
এর জেরে নির্বাচনের পরদিন এফডিসির সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ১৮ সংগঠনের নেতারা। তারা অভিযোগ করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন এবং এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের সঙ্গে মিলে জায়েদ খান এমন পরিকল্পনার ছক এঁকেছিলেন, যাতে ১৮ সংগঠনের কেউ এফডিসিতে ঢুকতে না পারে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সে সময় এফডিসির এমডির পদত্যাগের দাবি ওঠে।
এর পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন ১৮ সংগঠনের নেতারা। এদিকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে কয়েক দিন ধরে লড়াইয়ে লিপ্ত নিপুণ আক্তার ও জায়েদ খান। সেই লড়াই এখন উচ্চ আদালতের ফুল বেঞ্চে। ১৩ তারিখ শুনানি। তার আগে উঠল জায়েদ খানকে নিষিদ্ধের গুঞ্জন।

 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
								                                                                                     
                                    
 
                 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                 
                                 
                                 
                                