ঢাকাসোমবার , ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কোক স্টুডিও বাংলা’র জনপ্রিয়তা !

Link Copied!

বেশ কয়েকবছর ধরেই বিশ্বব্যাপী সংগীতের বড় আসর হিসেবে পরিচিত কোক স্টুডিও। জানেন কি কীভাবে আসে এই ফিউশনধর্মী সংগীতমঞ্চ কোক স্টুডিওর ধারণা? এবছর বাংলাদেশেও শুরু হল কোক স্টুডিওর যাত্রা। 

কোক স্টুডিও বাংলা হল একটি বাংলাদেশী টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সঙ্গীত ফ্র্যাঞ্চাইজি যেখানে প্রতিষ্ঠিত এবং উদীয়মান শিল্পীরা স্টুডিওতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে ঢাকার একটি হোটেলে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন।


ভারত ও পাকিস্তানের নন্দিত শিল্পীদের নিয়ে সেইসব দেশের কোক স্টুডিওর অনুষ্ঠান বাংলাদেশে জনপ্রিয় হওয়ার পর বাংলাদেশে কোক স্টুডিও বাংলা চালু করা হয়। এটির পৃষ্ঠপোষকতা করছে ‘কোকা-কোলা’ এবং সমন্বয়ে করছে ‘গ্রে বাংলাদেশ’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম মৌসুমের আবহ সঙ্গীত ‘একলা চলো রে’ প্রকাশ করা হয়। প্রথম মৌসুমে মোট ১০টি পর্ব প্রচারিত হবে।

কোক স্টুডিও বাংলায় বাংলাদেশের শিল্পীরাও

Coke Studio Bangla-র দ্বিতীয় গান ‘প্রার্থনা’র (Prarthona) মুক্তি পেল ১ এপ্রিল। মমতাজ ও মিজানুর রহমানের কণ্ঠে এই গান মাত্র ছয় ঘণ্টাতেই ২ লাখ ভিউজ ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রথম সিজন ঘিরে ইতিমধ্যেই সঙ্গীতপ্রেমীদের উৎসাহ তুঙ্গে। বাংলাদেশের শিল্পী মমতাজ ও মিজানুর রহমানের কণ্ঠে প্রার্থনা গানটির প্রযোজনা করেছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব।

ভারতে অসম্ভব জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর কোক স্টুডিও (Coke Studio) ফেব্রুয়ারি মাসে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশে। নানা ধরণের মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্টে তৈরি কোক স্টুডিওর গান গাইছেন বাংলাদেশের শিল্পীরাও। ‘একলা চলো রে’ (Coke Studio Bangla Ekla Cholo) রবীন্দ্রসংগীত দিয়ে শুরু হয়েছে কোক স্টুডিও বাংলাদেশের যাত্রাপথ। তারপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভিডিয়ো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে ‘নাসেক নাসেক’ গান দিয়ে শুরু হয় ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র প্রথম সিজন। যা অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত জনপ্রিয়তা আদায় করে নেয়। ইউটিউবে ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র চ্যানেলে এই গানের ভিউজ হয় আজ পর্যন্ত ৯০ লাখ ২৩ হাজার।

এরপর সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা ছিল দ্বিতীয় গানটির। মমতাজ ও মিজানুর রহমানের কণ্ঠে দ্বিতীয় গান ‘প্রার্থনা’ মুক্তির পরও শ্রোতাদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যেই ইউটিউব ভিউজ পৌঁছয় ২ লাখ ৫৬ হাজার।

উল্লেখ্য ২০০৭ সালে নতুন একটি মোবাইল সেটের প্রচারণা চালানোর জন্য কোমল পানীয় কোম্পানি কোকা-কোলার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় মোবাইল কোম্পানি নোকিয়া। তখন বাজারে কেবল ঢুকেছে কোকা কোলার ডায়েট কোক। দুইটি ব্র্যান্ডের সম্মিলিত প্রচারণার জন্য একটি উদ্ভাবনী পরিকল্পনা নিয়ে আসে কোকা-কোলা ব্রাজিল। তারা সিদ্ধান্ত নেয় বিভিন্ন গানের মিশ্রণে নিজস্ব স্টুডিওতে একটি লাইভ কনসার্ট করার। সেখানেই কোক স্টুডিওর ভাবনার প্রথম বীজ বপন করা হয়েছিল। 

ব্রাজিলে এককালীন প্রচারণার নাম করে যাত্রা শুরু হলেও কোক স্টুডিওর পরিধি ছুঁয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয়। সূচনার ১৫ বছর পর, এবছর বাংলাদেশেও অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে কোক স্টুডিওর। 

নকিয়া এবং কোকা-কোলা জিরো, এই দুই ব্র্যান্ডের সম্মিলিত শক্তি জন্ম দিয়েছে কোক স্টুডিওর ভাবনার। তবে, এই ব্র্যান্ডের মিশ্রণ থেকেই গান মিশ্রণের চিন্তা এসেছিল কি না, তা জানা যায়নি। তাছাড়া,  কোক-স্টুডিওর সাফল্যের পিছনে মূল শব্দ এটিই- ‘মিশ্রণ’ বা ফিউশন।

ব্রাজিলে সাফল্য পাওয়ার পরের বছর, ২০০৮ সালে পাকিস্তানে একইরকম পরিকল্পনা নিয়ে ঘাটি বাধে কোকা-কোলা। ধীরে ধীরে ক্লাসিক্যাল, ফোক, সুফি, কাওয়ালি, ভাংড়া, হিপ হপ, রক, পপ; সব ধরনের গানের আস্তানা হয়ে উঠে কোক স্টুডিও। তাদের ট্যাগলাইনই হয়ে যায়, ‘সাউন্ড অব দ্য ন্যাশন’ অর্থাৎ জাতির কণ্ঠস্বর।

পাকিস্তানের পর ২০১১ সালে ভারতেও আস্তানা গাড়ে কোক স্টুডিও। কিন্তু বলিউডের জনপ্রিয়তার কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় তার। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চারটি টিভি মৌসুম উপহার দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় কোক স্টুডিও ইন্ডিয়া।

সুখবর হচ্ছে, সুরের ফিউশন যাত্রায়, এবার বাংলাদেশেও পা রেখেছে কোক স্টুডিও।

ইতোমধ্যে প্রথম মৌসুমের দৃশ্যধারণ শুরু করে দিয়েছে স্টুডিওটি। ঢাকায় কোকা-কোলা কোম্পানির সঙ্গে এই প্রকল্প সমন্বয় করছে গ্রে বাংলাদেশ। 

ইতোমধ্যে বাপ্পা মজুমদার, সায়ান চৌধুরী অর্ণব, মমতাজ, পান্থ কানাই, কনাসহ জনপ্রিয় অনেক সংগীতশিল্পী অংশ নিয়েছেন রেকর্ডিংয়ে।