ভারতের দিল্লিতে জেসিসি বৈঠক ও আসামে নদী সম্মেলনে যোগ দিতে ৩ দিনের সফরে আজ গুয়াহাটি যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সফরে আন্তঃসংযোগ, পানিবণ্টন ও সীমান্ত হত্যা প্রশ্নে সোচ্চার থাকবে ঢাকা। আর দিল্লি গুরুত্ব দিচ্ছে, চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দুদেশের সহযোগিতা আরো বাড়াতে।
বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশ ভারতের থিঙ্কট্যাঙ্ক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিস এবং এশিয়ান কনফ্লোয়েন্স আসামের গৌহাটিতে করছে নদী সম্মেলন। .
শনিবার শুরু এ সম্মেলনে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এতে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সঙ্গে নদী সংযোগ এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এর কৌশলগত অবস্থান তুলে ধরা হবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নদীপথে নতুন করে চলাচল শুরু করা যায় কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে ।
পরে ৩০শে মে দিল্লিতে সপ্তম যৌথ পরামর্শক কমিশন জেসিসির বৈঠকে অংশ নেবেন আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এ আলোচনায় গুরুত্ব পাবে কানেক্টিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য, পানিবণ্টন ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুসহ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সামনে রেখে সহযোগিতা আরও বাড়াতে জোর দেবে দুই দেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরকে সামনে রেখে এবারের জেসিসি বৈঠককের আলোচনা তাৎপর্যপূর্ণ বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০১২ সালে নয়াদিল্লিতে প্রথম জেসিসি বৈঠকে বসে বাংলাদেশ-ভারত। গত ১০ বছরে মোট ছয়বার জেসিসি বৈঠক হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে ঢাকার নেতৃত্বে ভার্চুয়ালি জেসিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুই দেশের করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সপ্তম জেসিসি বৈঠক নিয়ে বার বার অনিশ্চয়তা দেখা যায়। প্রায় ১৮ মাস পরে সপ্তম বারের মতো বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলো।