আজ ২৫ সেপ্টেম্বর (রোববার) বিশ্ব ফুসফুস দিবস। বিশ্বব্যাপী ফুসফুস সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়াতে ‘ফোরাম অব ইন্টারন্যাশনাল রেসপিরেটরি সোসাইটি’ দিনটিকে ফুসফুস দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘সবার জন্য ফুসফুসের স্বাস্থ্য’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে।
ফুসফুস মেরুদণ্ডী প্রাণির একটি অঙ্গ যা শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহৃত হয়। এর প্রধান কাজ হচ্ছে বাতাস থেকে অক্সিজেনকে রক্তপ্রবাহে নেয়া এবং রক্তপ্রবাহ হতে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে বাতাসে নিষ্কাশন করা। এই গ্যাস আদান-প্রদান করা হয় বিশেষায়িত কোষ দ্বারা তৈরি, খুবই পাতলা দেয়াল বিশিষ্ট লক্ষাধিক বায়ু থলির দ্বারা যাকে অ্যালভিওলাই বলে। এর শ্বাসকার্য ছাড়া অন্য কাজও আছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত। দেশের প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ অ্যাজমা রোগে ভুগছেন।
বিশ্বের সর্বোচ্চ যক্ষ্মা আক্রান্ত ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ২১ ভাগই সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্ত।
ফুসফুস রোগের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- বায়ু দূষণ, ধূমপান, অতিরিক্ত জনসংখ্যা, দারিদ্র্যতা, সামাজিক সচেতনতার অভাব ইত্যাদি।
বাংলাদেশের ফুসফুসের প্রধান রোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিওপিডি, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, যক্ষ্মা, আইএলডি, ফুসফুস ক্যান্সার।