সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ। শান্তর দুর্দান্ত ফিফটির ওপর ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। শান্ত করেছেন ৫৫ বলে ৭১ রান। জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৫১ রান। ওভার প্রতি তাদের করতে হবে ৭.৫৫।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাকিব। তবে শুরুতেই চাপে পড়ে টাইগাররা। ৩২ রান তুলতেই সৌম্য ও লিটনকে হারায় তারা। তবে এরপর ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শান্ত ও সাকিব মিলে গড়েন ৫৪ রানের জুটি। এরপরই ফিরে যান সাকিব। এদিকে দলের হাল ধরে অর্ধশতক পূরণ করেন শান্ত। দলের রান বাড়ানোর জন্য পেটাতে থাকেন শান্ত, কিন্তু এক সময় রাজার বলে ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
এদিকে শুরুতে সেই সৌম্য-শান্তর ওপেনিং জুটি এবারও জমেনি। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে তাদের গড়া ১০ রানের জুটি ভেঙে দেন মুজারাবানি। এরপর লিটন দাসকে নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিলেন শান্ত। তবে বাংলাদেশের বর্তমানের সেরা ব্যাটার লিটনও আউট হন ১২ বলে ১৪ রান করে। মুজারাবানির বল পেছনে স্কুপ করতে গিয়ে ব্যাটের কিনারায় লাগে লিটনের। যা ধরে ফেলেন চাতারা।
এর পর ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব। শান্তকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়ে ভালোভাবেই এগোতে থাকেন সাকিব। তবে উইলিয়ামসের প্রথম ওভারেই ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব। শান্তর সঙ্গে ভালোই চালিয়ে যাচ্ছিলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু শান্ত ফিরে যান কিছুক্ষণ পরই।
শেষের দিকে আফিফের ১৯ বলে ২৯ রান বাংলাদেশকে ১৫০ রানের সংগ্রহ পেতে সাহায্য করে। এদিকে জিম্বাবুয়ের হয়ে দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন মুজারাবানি এবং নাগারভা। আর গত ম্যাচে পাকিস্তান বধের রাজা পেয়েছেন এক উইকেট।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, তবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারই প্রথম মুখোমুখী হয়েছে দুই দল।