বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েও যেনো হননি জায়েদ খান। এই পদটি নিয়ে মামলা গড়িয়েছে আদালতে। যদিও চূড়ান্ত রায় আসার আগেই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন নিপুণ আক্তার।
জায়েদের দাবি, অন্যায়ভাবে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন নিপুণ। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে সরাসরি কথা বলেছেন তিনি, যা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি নিপুণ। ফলে তাকে এসব বক্তব্যের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে।
নিপুণের স্বাক্ষর করা নোটিশে লেখা আছে, ‘আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিগত কয়েকদিন যাবত আপনি বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল ও গণমাধ্যমে দেখা যায় যে, আপনি সমিতির একজন সদস্য এবং সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হয়ে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করছেন, যা সমিতির সাধারণ সদস্য, চলচ্চিত্রের মানুষ তথা সারাদেশের দর্শকদের নিকট শিল্পীদের ও শিল্পী সমিতির ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন করছেন, যা সমিতিতে রক্ষিত আছে। এহেন বক্তব্য সমিতির সদস্য হিসেবে কাম্য নয়। অতএব কেন আপনার বিরুদ্ধে সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭(ক) ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, তা পত্র প্রাপ্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর অনুরোধ করা হইল।’
আগামীকাল রোববার বিকাল ৪টায় জরুরি সভা ডেকেছে শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি। যে মিটিংয়ের মূল আলোচনার বিষয় জায়েদ খান। সেখানেই জায়েদের বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে।
সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ইতিমধ্যে জায়েদের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে শিল্পী সমিতির নির্বাচিত কমিটি থেকে অভিনেত্রী সুচরিতা ও চিত্রনায়ক রুবেলের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
এ নিয়ে জায়েদ খানের সাথে কথা হলে আপাতত এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে নারাজ বলে জানান তিনি। তারা শুরু থেকেই আমার সঙ্গে অন্যায় করে আসছে। তারা নায়ক রুবেল ভাই ও সূচরিতা ম্যাডামের মত বড় তারকাদেরও সদস্যপদ স্থগিতের চিঠি দিয়েছে। কতটা অসম্মান এটা ভাবুন।
২০০৮ সালে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেন জায়েদ খান। এরপর দুই মেয়াদে ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। ২০২২ অনুষ্ঠিত প্রাথমিকভাবে তিনি বিজয়ী হলেও অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ বাতিল হয়।