ট্রেনের পাওয়ার কারে অবৈধভাবে যাত্রী ওঠানোর ছবি তোলায় সাংবাধিককে মারধর করে চলতি ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১২ আগস্ট) হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্টেশন মাস্টার মোয়াজ্জেম হক।
মারদরের শিকার সাংবাদিক মোস্তফা কামাল দৈনিক মানবজমিনের শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি। তিনি হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ঘটনার বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সাংবাদিকরা। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রেন আটকে রেখে বিক্ষোভ করার।
আহত সাংবাদিক মোস্তফা কামাল জানান, কালনী ট্রেনে দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে যাত্রী বহন করে আসছেন এর কর্মরতরা। ট্রেনের বিদ্যুতের ইউনিট পাওয়ার কারের ভেতরেও ঝুকিপূর্ণভাবে যাত্রী নেওয়া হয়।
শনিবার সকালে সিলেট থেকে ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে থামলে পাওয়ার কারে অবৈধভাবে যাত্রী উঠানো হচ্ছিল। এ সময় সাংবাদিক মোস্তফা কামাল সেই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করেন এবং পরবর্তীতে মাস্টারের কক্ষে চলে যান।
পরে পাওয়ার কারের অপারেটর মোক্তার মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন স্টাফ নেমে এসে মোস্তফা কামালকে ধরে নিয়ে ট্রেনে ওঠান। তাকে বেধরক মারধর করে কিছুক্ষণ পর গুরুতর আহত অবস্থায় চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আহমদ খান বলেন, সাংবাদিকরা এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রেনের ওই কর্মচারীকে প্রত্যাহার না করলে সিলেটে ফেরার পথে ওই ট্রেনটি শায়েস্তাগঞ্জে আটকে রেখে অবরোধ করা হবে।
মারধরের সত্যতা নিশ্চিত করে শায়েস্তাগঞ্জ জংশনের স্টেশন মাস্টার মোয়াজ্জেম হক বলেন, এ ঘটনায় মুক্তার মিয়া বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।