ঢাকাসোমবার , ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঘামাচি থেকে মুক্তি !

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৮, ২০২১ ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

এবছর গরমে ঘামাচির থেকে মুক্তি পেতে আগে থেকেই মেনে চলুন নিয়মগুলি

ভ্যাপসা গরমে ঘামাচি যেন আমাদের চলার পথের সঙ্গী। শত চিকিৎসায়ও ছাড়তে চায় না। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ঘামাচির নাম মিলিয়ারিয়া। যা এটি ঘর্মগ্রন্থির রোগ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবদেহের sweating glands এর মুখ যখন ময়লা ও ব্যাক্টেরিয়ার জন্য আটকে যায়, তখন রেচনতন্ত্র ঠিকমত কাজ করতে পারে না। অর্থাৎ ঘাম দেহ থেকে বের হতে পারে না। ত্বকের মৃতজীবি কোষ এবং ব্যাক্টেরিয়া Staphylococcus epidermidis জীবাণু ত্বকের লোমকূপের সঙ্গে লুকিয়ে থাকা ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয়। ফলস্বরূপ, sweating glands obstruction হয়ে লাল ফুসকুড়ি বা দানার আকারে ফুলে ওঠে যা Miliaria বা ঘামাচি তৈরি হয়। এটি মূলত একটি চর্মরোগ।

শরীরের বিভিন্ন অংশ এবং ত্বকে বিস্তৃতি এবং জটিলতার ওপর নির্ভর করে ঘামাচিকে চার ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। মিলিয়ারিয়া ক্রিস্টালিনার ক্ষেত্রে ত্বকের একেবারে ওপরের স্তর ঘর্মবদ্ধতার শিকার হয়ে থাকে। এ অবস্থায় ত্বক দেখতে প্রায় স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। তবে কিছু পরিস্কার পানিযুক্ত দানা দেখা দিতে পারে। মিলিয়ারিয়া রুবরার ক্ষেত্রে ঘর্মনালিতে বদ্ধতা মধ্য ত্বক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে থাকে এবং এ ক্ষেত্রে ত্বকের ওপরে ছোট ছোট অসংখ্য গোটা হতে দেখা যায়।

এসব জায়গায় প্রচণ্ড চুলকানিসহ অস্বস্তি বোধ হতে পারে। ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে আপেক্ষিকভাবে লালচে রঙের দেখা যায়। শরীরের মূল অংশ অর্থাৎ বুক, পিঠ ও ঘাড়ে এ ধরনের ঘামাচি বেশি হতে দেখা যায়। মিলিয়ারিয়া পাসটুলোসার ক্ষেত্রে ঘামাচির দানাদার সংক্রমিত হয়ে ফোড়ার জন্ম দিয়ে থাকে আর মিলিয়ারিয়া প্রোফাউন্ডার ক্ষেত্রে ঘামাচি ত্বকের গভীরে বিস্তৃত হয়ে থাকে, ঘামাচির জায়গাগুলো ফুলে শক্ত হয়ে যায়, সঙ্গে চুলকানি আর অস্বস্তি তো থাকেই। আসুন জেনে নিই ঘামাচি থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

গোসল করবেন নিয়মিত

ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে হবে। এয়ারকন্ডিশন্ড রুমে থাকা ভালো। তবে ফ্যানের বাতাসেও থাকতে পারেন। এ ছাড়া দিনে দুই থেকে তিনবার পানি দিয়ে গোসল করা যেতে পারে। শুকনো কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে ১০-১৫ মিনিট ধরে ঘামাচির ওপর লাগান। দিনে ৩-৪ বার এভাবে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। গরমে সবসময় ঢিলেঢালা সুতি জামাকাপড় পরবেন। এতে করে স্বস্তিবোধ করবেন।

ক্যালামিলন লোশন

ক্যালামিলন লোশন ঝাঁকিয়ে আক্রান্ত ত্বকে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে তিন থেকে চার দিন করবেন, তার বেশি নয়। এ ছাড়া খুব বেশি লাল ভাব বা একজিমার মতো হলে কিছুদিন কিউরল অয়েন্টমেন্ট দিনে দু’বার করে ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।

অ্যান্টিবায়োটিক যখন দরকার

ফোড়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক, যেমন- ফ্লক্সাসিলিন অথবা ইক্লরাইথ্রোমাইসিস পাঁচ থেকে সাত দিন যথাযথ মাত্রায় পুরো কোর্স খেতে হবে। তবে যে কোনো ওষুধ খাওয়া বা প্রয়োগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

যা করবেন না

ঘামাচি চুলকাবেন না। কারণ, ঘামাচি চুলকালে আপনার নখের দ্বারা জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। আর সবসময় পরিচ্ছন্ন থাকুন। নোংরা থাকবেন না।

ট্যালকম পাউডার নয়

বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত কিছু পাউডার বা সাবান ঘামাচির সমস্যা দূর করতে পারে বলে প্রস্তুতকারী সংস্থা দাবি করলেও তাতে নানারকম রাসায়নিক পদার্থ মেশানো থাকে। ফলে ত্বকের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। শিশুদের ক্ষেত্রেও এসব সাবান বা পাউডার নিরাপদ নয়। ঘামাচির বাড়াবাড়ি রকমের সমস্যা থাকলে অবশ্যই ত্বকবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন ।