উচ্চ আদালতের নির্দেশে দেশের অনিবন্ধিত নিউজপোর্টালগুলো বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করলেও কিছু নিবন্ধিত ও জনপ্রিয় পোর্টাল বন্ধ হয়ে পড়ায় সেই প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে সরকার।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টাল বন্ধ করতে কাজ শুরু করে।ফলে অনিবন্ধিত নিউজপোর্টালগুলো বন্ধ করার প্রক্রিয়ায় নিবন্ধিত প্রথম সারির কিছু পোর্টালও সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রায় ঘণ্টা খানিক পরে সেগুলো চালু হয়েছে।
নিবন্ধিত বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম, বিডিনিউজ, বাসস ছাড়াও বেশ কিছু শীর্ষ অনলাইন পোর্টাল সাময়িক বন্ধ হয়ে যাওযায় লাখ লাখ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহকগণ বিকেল থেকে সাইটে ঢুকতে পারছিলেন না। তবে মোবাইল থেকে ঢোকা যাচ্ছিল।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলানিউজকে বলেন, অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধ করতে গিয়ে নিবন্ধিত কিছু পোর্টাল সাময়িক সমস্যায় পড়েছিল। দ্রুত পদক্ষেপে সেগুলো চালু হয়েছে। অনিবন্ধিত পোর্টালগুলো বন্ধ করতে নতুন তালিকা ধরে পরবর্তীসময়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় বাংলানিউজকে বলেন, অনিবন্ধিত পোর্টাল বন্ধ করতে গিয়ে হয় তো বা ভুলবশত কিছু পোর্টাল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সূত্র জানায়, অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোটলর্টালগুলো বন্ধ করতে গিয়ে বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভুলে বন্ধ হয়ে যায় নিবন্ধিত ও জনপ্রিয় এসব সংবাদ মাধ্যম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জনপ্রিয় এসব নিউজ সাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেগুলোর অগণিত পাঠক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আদালতের নির্দেশনার পর অনিবন্ধিত পোর্টালগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে বিটিআরসি। এতে কিছু নিবন্ধিত পোর্টাল বন্ধ হয়ে যায়। তাই এই প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিটিআরসিকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। মন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা চাওয়া হয়েছিল। এদিকে আদালতের নির্দশনার সময়সীমাও শেষ হয়ে আসছিল। বিটিআরসি তখন নিজস্ব তালিকা ধরে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে।