প্রায় ১৮ মাস পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করা হবে। আজ রোববার শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বিকেল সোয়া ৩টায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়। সভাশেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসএসসি, এইচএসসি ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন প্রতিদিন ক্লাসে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
ডা. দীপু মনি বলেন, শুরুর দিকে ২০২১ সালে যারা এসএসসি ও এইচএসসি এবং ২০২১ সালে যারা এসএসসি পরীক্ষা দেবেন তাদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে। এছাড়াও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও প্রতিদিন ক্লাসে আসবে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ১৭ মাস যেহেতু শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ছিল না, তাই চার ঘণ্টা, পাঁচ ঘণ্টা করে ক্লাস নেয়া হবে। তারপর ধীরে ধীরে ক্লাসের সময়সূচি স্বাভাবিক করা হবে।
তিনি জানান, বাকি সব শ্রেণিতে একদিন করে ক্লাস হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করব। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় পরামর্শক কমিটি আমরা সবাই যৌথভাবে এই পর্যবেক্ষণ কাজের মধ্যে থাকব। আমরা দেখব, কীভাবে আমরা এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর শুরুর দিন চার-পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে ক্লাসের সংখ্যা বাড়বে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চেকলিস্ট পূরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। র্যান্ডম স্যাম্পলিং করে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।
স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। স্কুলে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না। তবে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে; যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে শিক্ষার্থীরা ভালো অবস্থানে থাকতে পারে।
পাশাপাশি যে এলাকায় করোনা সংক্রমণ বাড়বে সেই এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর করোনা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হবে। যখনই কোনো এলাকায় সংক্রমণ বেড়ে যাবে ওই এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থাকায় শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে।
পরে কয়েক দফা চেষ্টা করেও এই মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আর খোলা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। চলমান এই ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। সে অনুযায়ী, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান ছুটি অব্যাহত থাকবে।