বিতর্কিত বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহিমকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে । বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুপুরের পর কাজী ইব্রাহিমকে আদালতে হাজির করে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. হাসানুজ্জামান ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আদালতে কাজী ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি হয়। তাঁর পক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে কাজী ইব্রাহিমকে তাঁর লালমাটিয়ার বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওয়াজ নসিহতের নামে উল্টাপাল্টা ও ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে মুফতি কাজী ইব্রাহিমকে আটক করা হয়। পরদিন গত মঙ্গলবার ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধ মামলা করে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সোমবার রাতেও ফেসবুক লাইভে কাজী ইব্রাহিম বাংলাদেশের মানুষকে হিন্দুস্থানের দালাল ও র-এর এজেন্ট বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে করোনা নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার ও ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করেছেন, যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, বিতর্ক হচ্ছে। সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, জেড এম রানা নামের এক ব্যক্তি গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে প্রতারণার অভিযোগে কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধ একটি মামলা দায়ের করেন।