চট্টগ্রাম: কামান, ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট লাঞ্চার, হেলিপ্যাডসহ যুদ্ধজাহাজের রণসজ্জা দেখে কারও চোখে বিস্ময়। জাহাজের ছোট্ট পরিসরে নৌসেনাদের কর্মযজ্ঞ দেখে মুগ্ধ অনেকে ।
কৌতূহলী চোখের তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা । সহজ ভাষায় সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে বলছেন তারা ।
রোববার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবসে চট্টগ্রাম নেভাল জেটিতে যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা প্রত্যাশা’ সাধারণ মানুষের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত ছিল। বেলা ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নারী, শিশু, শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে জাহাজটি পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রোববার চট্টগ্রাম নৌঅঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম নৌঅঞ্চলের মসজিদগুলোতে বাদ ফজর দেশ ও জাতীর কল্যাণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য এবং স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদত বরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলে সব ঘাঁটি ও জাহাজগুলোতে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের ওপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এ ছাড়া নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে কবিতা আবৃত্তি, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম নেভাল জেটিতে যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা প্রত্যাশা’ সাধারণ মানুষের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
উল্লেখ্য আজ ২১ নভেম্বর, সশস্ত্র বাহিনী দিবস। যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হল। দেশের সকল সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদসমূহে দেশের কল্যাণ, সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হয় । দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।