গত ২ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বনানীতে বিজিবির সাবেক হাবিলদার মনোরঞ্জন হাজংকে বিচারপতির ছেলে সাইফ হাসানের বিএমডব্লিউ গাড়ি চাপা দেওয়ার অভিযোগে অবশেষে মামলা নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) চালকসহ অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগের লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে মামলা নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওইদিন বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি সড়কে ইউটার্নের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মনোরঞ্জন হাজং। হঠাৎই বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে এসে তাকে চাপা দেয় লাল রঙের একটি বিএমডব্লিউ। পথচারীরা গাড়ি ও ড্রাইভারকে ধরে পুলিশে দেয়। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন সাইফ হাসান। সাথে ছিলেন তার স্ত্রী অন্তরা এবং রোয়াদ নামের এক বন্ধু। যদিও কিছুক্ষণ পর পুলিশ ছেড়ে দেয় বিচারপতির ছেলেসহ অন্যান্যদের। আর মনোরঞ্জনকে পাঠানো হয় পঙ্গু হাসপাতালে।
এরপর এই ঘটনায় ভুক্তভোগী মনোরঞ্জন হাজং এর মেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট মহুয়া হাজং মামলার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি। স্বজনদের দাবি ছিল, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় অভিযোগ পর্যন্ত নিচ্ছেন না। এরপর গণমাধ্যমে এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হয়। অভিযোগ গ্রহণ না করার প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত মামলা নেওয়ার দাবি জানায় হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ।
দুর্ঘটনার পর অস্ত্রোপচার করে মনোরঞ্জন হাজং এর ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলা হয়। এখন রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন বিজিবির সাবেক এই হাবিলদার।