ঝালকাঠি: রাজধানী ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ।
সকাল থেকে এপর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও দগ্ধ হয়েছেন অনেক যাত্রী। লঞ্চে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ, অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে ঝাপ দিয়েছেন নদীতে। এতে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঝালকাঠির ফায়ার স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজ চলছে ৷ হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। লঞ্চটি বর্তমানে দেউরি গ্রামের বিষখালী নদীর তীরে আছে। সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট ও পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার ৮ নং গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলের আশেপাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চটিতে সকল বয়সের প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
লঞ্চের বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের থেকে জানা যায়, আগুন লাগার পর অনেক যাত্রী প্রাণ বাঁচাতে লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়েছেন। এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করছেন লঞ্চে থাকা যাত্রীরা। তবে প্রাথমিকভাবে সঠিক কয়টি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।
আরেকজন যাত্রী জানান, লঞ্চটি ঝালকাঠি টার্মিনালের কাছাকাছি পৌঁছালে ইঞ্জিনরুমে আগুন লেগে যায়, আবার অনেকে বলছেন রান্না করার রুম থেকে এই আগুনের সূত্রপাত । উৎপত্তিস্থল থেকে আগুন মুহূর্তেই পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে যায়। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরাও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে তীরে উঠেছেন বলেও জানান তিনি।