Moderna likely to introduce new COVID Vaccine : এই নতুন ভ্যারিয়েন্টকে কি আদৌ রুখতে পারবে এখনের ভ্যাকসিনগুলি? বিশ্বের তাবড় টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি এখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে কাঁটা ছেড়া শুরু করে দিয়েছে।
ঢাকা : ডেল্টা থেকে অনেকটাই আলাদা ওমিক্রন। স্পাইক প্রোটিনে অনেকগুলি মিউটেশন হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যতগুলি করোনার ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে ওমিক্রন। আর তারই মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, এই নতুন ভ্যারিয়েন্টকে কি আদৌ রুখতে পারবে প্রচলিত ভ্যাকসিনগুলি? বিশ্বের তাবড় টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি এখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে কাঁটা ছেড়া শুরু করে দিয়েছে।
মার্কিন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্না ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ওমিক্রনের মোকাবিলা নিশ্চিত করার জন্য। আগামী বছরের শুরুর দিকেই নতুন এই ভ্যাকসিন বাজারে এসে যাবে বলে আশা করছে মার্কিন টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাটি। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থার চিফ মেডিকেল অফিসার পল বারটন।
শুধু মডার্নাই নয়। জার্মান বায়োটেক সংস্থা বায়োএনটেক ইতিমধ্যেই ফাইজারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওমিক্রন সংক্রান্ত কাজ শুরু করে দিয়েছে। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে করোনা টিকার ‘নতুন ভার্সন’ বাজারে আনতে পারে বায়োএনটেক এবং ফাইজ়ার।
ভ্যাকসিন নির্মাতারা এবং বিজ্ঞানীরা ওমিক্রনের টিকা নিয়ে কাজ শুরু করার পাশাপাশি, বর্তমানে বাজারে উপলব্ধ করোনা টিকাগুলি দিয়েই জরুরী ভিত্তিতে টিকাকরণের জন্য আবেদন করেছেন। কারণ, ওমিক্রনের কারণ সংক্রমণের দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে, যদি তা গুরুতর নাও হয়, তাহলেও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর চাপ তৈরি হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “ওমিক্রনের প্রচুর সংখ্যক স্পাইক মিউটেশন রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি অতিমারির আকার নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।” যদি ওমিক্রনের জন্য আবার কোভিড -19-এর একটি বড় ঢেউ চলে আসে, তাহলে তার পরিণতি গুরুতর হতে পারে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে এও জানানো হয়েছে, “এখনও অবধি, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।”
ওমিক্রনের উপর আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আগামী দিনগুলিতে আমাদের হাতে চলে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করছে, এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরও প্রভাবিত করতে পারে। তাদের বক্তব্য, সংক্রমণ টিকা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যেও হতে পারে। যদি তা অনুপাতে অনেকটাই কম বলে অনুমান করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ওমিক্রনের হদিশ প্রথমবার পাওয়া যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১২ টি দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, বতসোয়ানা, ইতালি, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, জার্মানি, কানাডা, ইজরায়েল এবং চেক প্রজাতন্ত্রে ওমিক্রনের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।