দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবের পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন, সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ ১১ দফা বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যা কার্যকর হবে ১৩ জানুয়ারি থেকে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক আদেশে এই বিধিনিষেধের কথা জানানো হয়েছে। বিকেলে সিনিয়র সহকারী সচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বাড়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জনসাধারণকে অবশ্যই বাইরে গেলে মাস্ক পড়তে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ ও আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই টিকা সনদ দেখাতে হবে। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। করোনার বিস্তার ঠেকাতে উন্মুক্ত স্থানে সব ধরণের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
মাস্ক না পরলে জরিমানাসহ ১১ দফা বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রাদুর্ভাব এবং দেশে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই নির্দেশনাসহ মোট ১১ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
এদিকে, ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে থেকেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। গত মাসের শেষ দিকে যেখানে দৈনিক রোগী শনাক্ত ৫০০ এর ঘরে ছিল, সেখানে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা ২ হাজার ২৩১ জনে পৌঁছেছে। আর পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এর মধ্যেই আজকে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো।