আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০’ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শিল্পীদের সর্বোচ্চ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই পুরস্কার বিতরণ করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আজ সকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সভাপতিত্বেই অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন।
উল্লেখ্য বিগত ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০’ সালের তালিকা প্রকাশ করে সরকার। চলচ্চিত্র শিল্পের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য বিবেচনায় শিল্পী ও কলাকুশলীদের সৃজনশীলতা ও অভিনয় শৈলীর স্বীকৃতিস্বরূপ চলচ্চিত্র, বিশিষ্ট শিল্পী ও কলা-কুশলীদের প্রতিবছর এই পুরস্কার দেয়া হয়।
সেরা হলেন যাঁরা
চলচ্চিত্র শিল্পে অসামান্য অবদানের জন্য যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম (আনোয়ারা) এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ।
যারা এ সম্মানজনক পুরস্কার পেলেন তারা হলেন:
যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘গোর’ ও ‘বিশ্বসুন্দরী’।
এবার ১১টি শাখায় পুরস্কার জিতেছে সরকারি অনুদানের ছবি ‘গোর’।
২০২০ সালে ২৭টি শাখায় ২৮ জন শিল্পী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সরকারি অনুদানের ছবি জান্নাতুল ফেরদৌসের ‘আড়ং’,
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র সৈয়দ আশিক রহমানের ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যূদয়’,
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী রাকায়েত (গোর),
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে সিয়াম (বিশ্বসুন্দরী),
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা খলচরিত্রে মিশা সওদাগর (বীর),
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান অভিনেত্রী রোজালিন দীপান্বিতা মার্টিন (গোর),
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্বচরিত্রে ফজলুর রহমান বাবু (বিশ্বসুন্দরী),
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্বচরিত্রে অপর্ণা ঘোষ (গন্ডি),
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী মুগ্ধতা মোরশেদ ঋদ্ধি (গন্ডি),
শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার মো. শাহাদৎ হোসেন বাঁধন (আড়ং)।
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক বেলাল খান (বিশ্বাস যদি যায় রে),
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক প্রয়াত মো. সহিদুর রহমান (‘তুই কি আমার হবি রে’ ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’),
শ্রেষ্ঠ গায়ক ইমরান মাহমুদুল (‘তুই কি আমার হবি রে’, ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’),
শ্রেষ্ঠ গায়িকা যুগ্মভাবে দিলশাদ নাহার কনা (‘তুই কি আমার হবিরে’, ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’),
সোমনূর মনির কোনাল (‘ভালোবাসার মানুষ তুমি’, ছবি ‘বীর’),
শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল (‘তুই কি আমার হবিরে’, ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’),
শ্রেষ্ঠ সুরকার ইমরান মাহমুদুল (‘তুই কি আমার হবি রে’, ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’),
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার গাজী রাকায়েত (গোর),
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার গাজী রাকায়েত (গোর),
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা ফাখরুল আরেফীন খান (গন্ডি),
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম,
শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক উত্তম কুমার গুহ (গোর),
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক যুগ্মভাবে পঙ্কজ পালিত ও মো. মাহবুব উল্লাহ নিয়াজ (গোর),
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক কাজী সেলিম আহম্মেদ (গোর),
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা এনামতারা বেগম (গোর),
শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান মোহাম্মদ আলী বাবুল (গোর)।
পুরস্কার বিতরণী শেষে হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ফেরদৌস ও পূর্ণিমার উপস্থাপনায় পরিবেশনায় অংশ নেন নাটক ও চলচ্চিত্রের তারকারা।