বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক শেষে একটি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, এখন থেকে সৌদি আরবগামী বাংলাদেশিদের সৌদি অংশের ইমিগ্রেশনের সকল কার্যক্রম ঢাকায় সম্পন্ন হবে।
এসময় সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেন, জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেবে তার সরকার। এতে বাংলাদেশে তেল সরবরাহ বাধাগ্রস্থ হবে না।
বুধবার সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে সৌদি আরবের সাথে একটি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পর এ কথা জানান তিনি।
এরআগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বাদশা ফয়সাল ইনস্টিটিউটের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক একটি স্মারক সই হয়। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে শুল্ক সহযোগিতা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় চুক্তি সই। এরফলে সৌদি বড় ২০টি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে। এরআগে সকাল পৌণে ১১ টার দিকে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সাথে বৈঠক করেন।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এ সফরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাণিজ্য-বিনিয়োগ এবং অভিবাসন ইস্যুর উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। একদিনের সফর শেষে বিকালেই সৌদি আরব ফিরবেন ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছি। ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সম্পর্ক আরো জোরদারে আমরা আশাবাদী। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে কাজের ক্ষেত্রগুলো আরো সম্প্রসারণ করতে চাই। নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে একসাথে কাজ করে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো বৃদ্ধি করতে চাই।
অন্যদিকে, সৌদি আরবে অবস্থানরত রোহিঙ্গা এবং নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে রিয়াদ। এছাড়া সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরানীগঞ্জে ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভাষা ইনস্টিটিউট করার জন্য ভার্চুয়ালি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এরআগে মঙ্গলবার বিকালে ঢাকায় আসেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান। এসময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।