রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানা হবে না, এলাকাবাসী যেভাবে মাঠ ব্যবহার করছেন, সেভাবেই ব্যবহৃত হবে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাঠের মালিকানা পুলিশেরই। মাঠটিতে কলাবাগান থানা নির্মাণ করতে চেয়েছিল পুলিশ। তবে, মাঠটি রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসী, পরিবেশবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা আন্দোলনে নামে।
গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মাঠটি গণপূর্তের পরিত্যক্ত সম্পত্তি। পুলিশ, ডিসি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জায়গাটা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আপাতত এটা পুলিশের সম্পত্তি। তেঁতুলতলায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হবে কিনা সেটা পরের বিষয় বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
চলমান পরিস্থিতিতে কি করা যায়, আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে বলে গতকাল জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তবে বুধবার রাতের মধ্যেই মাঠটিতে দেয়াল তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ করেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাঠটিতে গিয়ে দেখা গিয়েছিল, কাঁটাতার বসানোর কাজ চলছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ এপ্রিল তেঁতুলতলায় পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করলে মাঠ রক্ষায় প্রতিবাদ শুরু হয়। মাঠ রক্ষার আন্দোলনে নামা সৈয়দা রতনা এবং তার ছেলে মোহাম্মদ ঈসা আবদুল্লাহকে সেদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা কলাবাগান থানায় আটকে রাখার পর মধ্যরাতে ছেড়ে দিলে আরও তুঙ্গে ওঠে প্রতিবাদ। এতে যোগ দেন পরিবেশবাদী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।