করোনার নতুন ধরন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। ভাইরাসটির ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পর অধিক সংক্রামক ধরণ ওমিক্রনের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব। এরইমধ্যে ওমিক্রনের চেয়েও বেশি সংক্রামক ধরন এক্সই নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। শঙ্কার বিষয় হলো, এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে ধরা পড়েছে এই ধরন। তবে এখানেই শেষ নয়। জানা যাচ্ছে, দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে এক্সই এর পাশাপাশি আরও একটি নতুন ধরন কাপ্পারেরও খোঁজ মিলেছে। খবর এনডিটিভির।
কাপ্পার নিয়ে বিশেষ কোনো তথ্য এখনও না মিললেও এক্সই কে এরই মধ্যে ওমিক্রনের চেয়েও ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এটি মূলত কোভিডের দু’টি পূর্ববর্তী রূপ বিএ.১ ও বিএ.২-এর ‘রিকম্বিন্যান্ট’ ধরণ। একই ব্যক্তি যখন কোভিডের একাধিক ধরন দ্বারা আক্রান্ত হন, তখন দু’টি ভ্যারিয়েন্টের জিনগত উপাদানের সংমিশ্রণের ফলে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের উৎপত্তি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রনের বিএ ওয়ান ও বিএটুয়ের সম্মিলিত সংস্করণ এই হাইব্রিড এক্সই। উল্লেখ্য, ওমিক্রনের ভ্যারিয়েন্টগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক ছিল বিএ ২। আর এই এক্সই তার চেয়েও বেশি সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখে ইউকেতে প্রথম এক্সই টু ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে।
ভারতে প্রবেশ করেছে কোভিডের হাইব্রিড এক্সই ভ্যারিয়েন্ট বলে খবর পাওয়া গেলেও, তার সত্যতা নেই বলে দাবি ভারতের জিনোমিক কনসার্টিয়ামের। বুধবার মায়ানগরী মুম্বইতে এই ভ্যারিয়েন্টকে শণাক্ত করা গিয়েছে কোভিড রোগীর দেহে। ফলে আতঙ্ক গ্রাস করতে শুরু করে দিয়েছে। ৩৭৬ টি নমুনার মধ্যে একজনের শরীরে মিলেছে এই ভ্যারিয়েন্ট। তারই মাঝে আসে জিনোমিক কনসার্টিামের রিপোর্ট. সদ্য এই এক্স ই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে ইউকেতে। প্রশ্ন উঠছে এর উপসর্গ নিয়ে। উদ্বেগ রয়েছে সংক্রামক ক্ষমতা নিয়ে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, এই এক্সই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
এক্স ই ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ- এই ভ্যারিয়েন্ট কারোর জন্য অনেকটাই অল্প হতে পারে, আবার কারোর দেহে এটি ভয়াবহ জাল বিস্তার করতে পারে। শরীরের ভ্যাকসিন স্টেটাসের উপর নির্ভর করছে এই ভাইরাসের উপসর্গ।
ডব্লিউএইচও একাধিক লক্ষণকে এক্সই এর উপসর্গ বলে চিহ্নিত করেছে।
১। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর
২। আকস্মিক ছোঁয়াচে কাশি
৩। স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতিতে বদল
৪। শ্বাসকষ্ট
৫। ক্লান্তি
৬। গা-হাত-পায়ে ব্যথা
৭। মাথা যন্ত্রণা
৮। গলা ব্যথা
৯। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া কিংবা নাক দিয়ে অবিরাম পানি পড়া
১০। ক্ষুধা কমে যাওয়া
১১। ডায়েরিয়া
১২। বমি বমি ভাব।
তবে ভারতে ঠিক কতজন এখন পর্যন্ত নতুন এই ধরন দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানা যায়নি। জানা যাচ্ছে, এই ভ্যারিয়েন্টটি প্রথমে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়েছিল।