ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে বুধবার (১১ মে) মাঝরাতে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। তবে আগেই দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নেওয়ায় খুব একটি ক্ষতি হয়নি উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে।
অশনির চোখ রাঙানি পুরোপুরি মিলিয়ে যেতে না যেতেই নাসার উপগ্রহে ধরা পড়ল আরও এক বিপদ সংকেত। উপগ্রহ চিত্র বলছে ভারতের দক্ষিণে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে। ভারত মহাসাগরে তৈরি হতে চলা এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘করিম’।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার আর্থ অবজারভেটরি জানিয়েছে, করিম প্রথম শ্রেণির হারিকেন ঝড় হতে চলেছে। তবে ভারতের এই ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ নিরক্ষরেখার দক্ষিণে অবস্থান করছে করিম।
নাসার ‘ভিজিবল ইনফ্রারেড ইমেজিং রেডিয়োমিটার স্যুটস’ করিমের ছবি তুলেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, আবহাওয়াবিদদের মতে দক্ষিণ গোলার্ধের কোনও ঘূর্ণিঝড় নিরক্ষরেখা পার করে উত্তর গোলার্ধে আসবে না। এর হাওয়ার গতি উল্টো থাকে। এই আবহে ভারতের আপাতত এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে চিন্তা করার কারণে নেই।
ঘূর্ণিঝড় করিম সামুদ্রিক হাওয়ার মুখে পড়ে শক্তি ক্ষয় করতে পারে বলে জানিয়েছে নাসা। সেক্ষেত্রে এই ঘূর্ণিঝড় যেকোনও জায়গায় যদি স্থলভাগে প্রবেশ করে, তাহলে তা খুব বেশি ক্ষতি ডেকে আনবে না।
বর্তমানে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত কোকোজ আইল্যান্ডের খুব কাছে রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। সেই দ্বীপে ৬০০ মানুষ বসবাস করেন বলে জানা গেছে। এই আবহে এই বাসিন্দারা বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।