আজ থেকে সারা দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হয়েছে। সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এবার মোট চারটি ধাপে চলবে এই কার্যক্রম।
প্রথম ধাপে ৯ জুন পর্যন্ত ১৪০টি উপজেলায় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। করোনার কারণে দুই বছর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ বন্ধ ছিল। এবার তিন বছরের তথ্য একসঙ্গে সংগ্রহ করা হবে।
এক্ষেত্রে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। অর্থাৎ ১৬ বছর বয়সীদের তথ্যও নেয়া হবে। পরে তাদের বয়স ১৮ হলে, তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। এর মধ্যে যাঁদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৫ বা তার আগে তাঁদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আগামী বছরের ২ মার্চ প্রকাশ করা হবে।
আর যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৬ বা তার আগে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৪ সালের ২ মার্চ এবং যাদের জন্ম ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৫ সালের ২ মার্চ।
ইসি জানিয়েছে, যাঁদের জন্ম ২০০৫ সালের আগে, কিন্তু বিভিন্ন কারণে ভোটার হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি, তাঁরাও হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটার হতে পারবেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে মৃত ভোটারের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এ সময় ভোটার স্থানান্তরের আবেদনও করা যাবে।
নির্বাচন কমিশন নিয়োজিত তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), পিতা/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ইউটিলিটি (পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস) বিলের কপি প্রয়োজন হবে।
ইসি জানায়, রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে না পারে, সে জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩২টি বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ কমিটির মাধ্যমে নিবন্ধন ফরম যাচাই-বাছাই করা হবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক–সংবলিত ডেটাবেইজও ব্যবহার করা হবে।
বিগত হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া কেউ চাইলে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ভোটার হতে পারবেন। ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নামও বাদ দেয়া হবে।
দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন, নারী ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন এবং হিজড়া ৪৫৪ জন।