প্রমত্তা পদ্মার বুকে বাঙালির স্বপ্নপূরণের উৎসবে যোগ দিতে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সুধী সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; এ অনুষ্ঠানেই তিনি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঘোষণা দেবেন।
দেশের সবচেয়ে বড় এ যোগাযোগ অবকাঠামোর উদ্বোধন উপলক্ষে পদ্মার দুই তীরের পাশাপাশি সারা দেশে শুরু হয়ে গেছে উৎসব। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রওনা হয়ে ঠিক ১০টায় মাওয়ায় আয়োজিত সুধী সমাবেশের মঞ্চে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
এ অনুষ্ঠানেই দেশের সবচেয়ে বড় এ যোগাযোগ অবকাঠামোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হবে চলাচলের জন্য। পদ্মার দুই তীরের পাশাপাশি সারা দেশে তাই উৎসবের সাজ।
প্রায় সাড়ে তিন হাজার অতিথিকে মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেতুর টোল প্লাজার কিছুটা আগে এক পাশে অস্থায়ী প্যান্ডেল করে অতিথিদের বসার ব্যবস্থা হয়েছে। সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা সুধী সমাবেশ স্থলে পৌঁছেছেন আগেই।
মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর এক পাশে আছেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, অন্যপাশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আর তার পাশে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
মঞ্চের দুই পাশে দুটো ডায়াস আর তার দুটো জায়ান্ট স্ক্রিন। এক পাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, অন্য পাশে তাঁর মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি।
স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, কুটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
তাদের মধ্যে আছেন বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন, ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।