ঢাকাবুধবার , ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল বন্ধের পক্ষে টাস্কফোর্স

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২৭, ২০২২ ৮:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে আন্তজেলা ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখার পক্ষে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদার করা ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্স।

আজ বুধবার সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত টাস্কফোর্সের পঞ্চম সভা শেষে তাদের পক্ষ থেকে এই মনোভাবের কথা জানানো হয়। সভাটি টাস্কফোর্সের সভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে শুরু হলেও তিনি জরুরি কাজে পুরো সময় থাকতে পারেননি। এরপর সিদ্ধান্ত জানান টাস্কফোর্সের সদস্য ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সংসদ সদস্য শাজাহান খান।

শাজাহান খান বলেন, ‘মোটরসাইকেল নিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, দূরপাল্লায়, আন্তজেলা (এক জেলা থেকে আরেক জেলায়) রাইড শেয়ারিং হবে না। আজকের সভাতেও এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, ৪০ শতাংশ দুর্ঘটনা হয় মোটরসাইকেলে। সুতরাং সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

মোটরসাইকেলের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত কি স্থায়ীভাবে নেওয়া হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আছে।

গত ঈদের ছুটিতে ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতের প্রাক্কালে আন্তজেলায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। তবে এখনো এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হয়নি।

টাস্কফোর্সের আজকের সভায় আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চালকেরা মাদকাসক্ত কি না, তা পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট) করে লাইসেন্স নবায়ন বা নতুন লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে। কিন্তু দ্রুততার সঙ্গে এটি করা যাচ্ছে না। কারণ, এই পরীক্ষার জন্য মাত্র কয়েকটি কেন্দ্র আছে। এ জন্য টাস্কফোর্স এসব কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো এবং পরীক্ষা ফি ৯০০ টাকা থেকে কমাতে বলেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) শূন্য পদগুলো পাঁচ মাসের মধ্যে পূরণ করতে নির্দেশ দিয়েছে টাস্কফোর্স। বর্তমানে বিআরটিএর ৯৩১ জন জনবল কাঠামো রয়েছে। এর মধ্যে ১২২টি পদ শূন্য। এ ছাড়া হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো, মানসম্মত হেলমেট নিশ্চিত করার জন্য বিএসটিআইয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

শাজাহান খান বলেন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা টোলের নামে সড়ক ও মহাসড়কেও টাকা নিচ্ছে। অথচ ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা আছে, সড়ক-মহাসড়ক থেকে চাঁদা আদায় করা যাবে না। শুধু টার্মিনাল থেকে টোল নিতে পারে। এ জন্য পুনরায় পত্র দিয়ে অবিলম্বে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার নেওয়া এই চাঁদা আদায় বন্ধ করতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবৈধ ড্রাইভিং স্কুলগুলো বন্ধ করতে। একই সঙ্গে যাচাই করে যাদের অনুমোদন দেওয়া যায়, তা দেওয়া এবং শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আরও কিছু ড্রাইভিং স্কুল অনুমোদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এই টাস্কফোর্স।

শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে। এ বিষয়ে মালিক ও শ্রমিকনেতাদের বসে দ্রুত সমাধান করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, মোটামুটি একমত হওয়া গেছে যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক দিন ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠান করে সারা দেশে নিয়োগপত্র দেবেন।
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।