এবার প্রথমবারের মতো ঢাকায় এসেছিলেন বলিউড তারকা সালমান খানের ভাই সোহেল খান। তিনি নিজেও বলিউডের একজন অভিনেতা, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার। সোহেল খান এসেছিলেন সালমানের চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান ‘বিং হিউম্যান’র ফ্যাশন হাউসের শোরুম উদ্বোধন করতে। বনানীর ১০ এর এ-তে এইচ ব্লকে ১৮ নম্বর বাড়িতে এই শোরুম চালু হয়েছে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। এটি উদ্বোধন করতে এদিন সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন সোহেল খান। এদিন দুপুর ২টার দিকে তিনি বনানীতে আসেন।
এ সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। বাংলাদেশ নিয়ে এই বলিউড নায়কের উচ্ছ্বাস ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর বলা কথা তুলে ধরা হলো এখানে- বাংলাদেশে প্রথমবার এলেন, অনুভূতি কেমন? তিনি বলেন, যদি ভালো লাগার কথা বলি এক কথায় বলব অসাধারণ, কারণ আগেই শুনেছি এ দেশের মানুষ অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ, এখানে এসে দেখলাম সত্যিই তাই, যা শুনেছি তার চেয়ে অনেক বেশি। এমন আতিথেয়তায় সত্যিই নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছে। আসলে বাংলাদেশে আসার আগে খানিকটা নার্ভাস ছিলাম। ভাবছিলাম, সালমানের বদলে এ দেশের মানুষ আমাকে গ্রহণ করবে তো। বর্তমানে সালমান অনেক ব্যস্ত। তাই তাঁর পরিবর্তে আমি এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের দেখে খুব ভালো লাগছে। এখানকার প্রতিটি মানুষই হাসিখুশি। সবাইকে বেশ সুখী মনে হচ্ছে। আপনাদের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। এখানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আপনাদের হাসিমুখ, ভালোবাসা প্রদর্শন দেখে আমি মুগ্ধ। বাংলাদেশ আমাদের দারুণ একটি প্রতিবেশি দেশ। এক কথায় বলব ‘আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি।
বাংলাদেশের সিনেমা কখনো দেখা হয়েছে কি? তিনি বলেন, অবশ্যই, আমি ইউটিউবে বেশ কিছু বাংলাদেশের সিনেমা দেখেছি। এ দেশের সিনেমার অভিনয়-নাচ-গান আমার কাছে দারুণ লাগে। ভাষা না বুঝলেও আমাদের কালচার কিন্তু একই। বাংলাদেশের ছবির মানও খুব ভালো। আমার বেশি ভালো লেগেছে এ দেশের ছবির পারিবারিক গল্পের প্লট।
তিনি বলেন, এছাড়া কিছু ছবিতে ফোক গান থাকে, এগুলো বাংলাদেশের সংস্কৃতির আয়না। সব কিছুই আসলে উপভোগ্য। মূল কথা হলো আমাদের সংস্কৃতি তো কাছাকাছি। সিনেমার ধরনটাও অনেকটা এক; বাংলাদেশের সিনেমার নাচ-গান-অ্যাকশন বেশ উপভোগ করেছি। আমার মতে সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন বলিউড ও ঢালিউড হাতধরাধরি করে একসঙ্গে চলবে।
প্রস্তাব পেলে বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করবেন? তিনি বলেন, কেন নয়, অবশ্যই করব। আগেই বলেছি ভারত ও বাংলাদেশের কালচার কিন্তু একই। তাছাড়া বাংলাদেশের ছবির মানও অনেক উন্নত। তাই প্রস্তাব পেলে অবশ্যই এ দেশের ছবিতে অভিনয় করতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু খাবারের সুনাম রয়েছে, আপনি এখানে এসে কোন খাবার খেতে চান? তিনি বলেন, হ্যাঁ, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু খাবারের কথা আগেই শুনেছি এবং আমার দেশে বাংলাদেশের কিছু রেস্টুরেন্ট থেকে বাংলাদেশের খাবারও খেয়েছিলাম। বেশ সুস্বাদু ছিল। যেমন বাংলাদেশের খাবারের কথা শুনলে প্রথমেই ইলিশ মাছের কথা মনে আসে। এরপর বিরিয়ানি। আমি ভেবে রেখেছি বাংলাদেশে আসার পর ভাত-ইলিশ মাছ আর বিরিয়ানিই খাব।