ঢাকাসোমবার , ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ ১:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠনো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

রোববার সরকারের চার সচিব ও তিনটি সংস্থার চেয়ারম্যান বরাবর ডাকযোগে ওই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

নোটিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, দেশের জাতীয় মাছ ইলিশ অথচ বর্তমানে ইলিশ মাছের অত্যধিক দামের কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই মাছ কেনার চিন্তাও করে না। দেশের মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী ইলিশ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে ইলিশ মাছের দাম গড়ে এক হাজার টাকা থেকে ১২শ টাকা কেজি।

এছাড়া ইলিশের মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু হলো পদ্মা নদীর ইলিশ। বাজারে পদ্মার ইলিশের দাম গড়ে ১২শ থেকে ১৫শ টাকা কেজি এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা না করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। ভারতে রপ্তানির কারণে দেশের স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম বেড়েছে। আরও দুঃখের বিষয় হলো দেশের বাজারের চেয়ে কম দামে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, ভারতে যে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে সেগুলো মূলত পদ্মার ইলিশ। এমনিতেই পদ্মা নদী থেকে সীমিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়। এই পদ্মার ইলিশ ভারতে রপ্তানির ফলে বাংলাদেশের বাজারগুলোতে পদ্মার ইলিশ যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশের রপ্তানিনীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য পণ্য নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ অনায্যভাবে, জনগণের স্বার্থ উপেক্ষা করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।

সরকার যদি বিদেশিদের ইলিশের স্বাদ উপভোগ করাতে চায়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ‘ইলিশ উৎসব’ আয়োজন করতে পারে। যেখানে বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এমনকি আসন্ন দুর্গাপূজায় ভারতীয়দের আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে বাংলাদেশে ভ্রমণ করে ইলিশের স্বাদ উপভোগ করার।

এখানে উল্লেখ্য যে, পর্যটন করপোরেশন আইন (বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন অর্ডার) এর ধারা ৫ অনুযায়ী, পর্যটনের উন্নয়ন, বিকাশ, বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করাসহ পর্যটনের সব উৎকর্ষসাধনের দায়িত্ব পর্যটন করপোরেশনের।

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪৯ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন করে মোট দুই হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।

গত ৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখার এক চিঠিতে এ অনুমতি দেয়া হয়। আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রককে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইলিশ রপ্তানি বিষয়ে প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে শর্তসাপেক্ষে ৪৯ প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেয়া হলো। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। সে হিসাবে মোট দুই হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।