দেশের একমাত্র ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের ডিপোতে জ্বালানি তেল ( ডিজেল) আসার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
পাইপলাইন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) টিপু সুলতান বলেন, শনিবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রিসিভ পাইপলাইন টার্মিনালের প্যান্ডেলে তেল আসার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
ভারতের আসাম রাজ্যের নুমালিগড় রিফাইনারির শিলিগুড়ি মাকেটিং টার্মিনাল থেকে সীমান্তের বর্ডার অতিক্রম করে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পঞ্চগড়, নীলফামারী, দিনাজপুর হয়ে পার্বতীপুর ডিপোতে সংযুক্ত হয়েছে পাইপলাইনটি।
পাইপলাইনের মোট দূরত্ব হয়েছে ১৩১.৫৭ কিলোমিটার। ভারতের অংশে মাত্র ৫ কিলোমিটার আর বাংলাদেশ অংশের রয়েছে ১২৬.৫৭ কিলোমিটার। পাইপলাইনের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অংশে ১২৬.৫৭ কিলোমিটার দূরত্বে প্রতি ৩০ কিলোমিটারে ৫টি এসভি স্টেশন (সেকশনালইজিং ভালভ) স্থাপন করা হয়েছে। সম্পন্ন অটোমেটিক মেশিনের মাধ্যমে এই পাইপলাইন নিয়ন্ত্রিত হবে।
উত্তরের ১৬ জেলায় নিরবিচ্ছন্নভাবে সারা বছর ডিজেল সরবরাহ রাখতে এই ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন ভূমিকা রাখবে। আগে খুলনা ও চট্টগ্রাম থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলে তেল আসতে সময় লাগতো ৬-৭ দিন। সাশ্রয়ী উপায়ে দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি সরবরাহে এটি একটি মাইলফলক হবে বলে মন্তব্য এলাকার লোকজনের।
পাইপলাইনের মাধ্যমে আমদানি করা ডিজেল সংরক্ষণের জন্য পার্বতীপুর রিসিভ টার্মিনাল সাইডে ২৯ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি বাফার ডিপো নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ১০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি মজুতের সক্ষমতা রয়েছে।