গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। রোববার নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ইসি আলমগীর বলেন, ভোট আয়োজন করা হয় দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী। কোনো সংস্থা নির্বাচন কমিশন নিয়ে কী বললো সেটা আমাদের দেখার বিষয় না।
তিনি বলেন, একটা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হয় অনেক আগে থেকে। আমেরিকার ভিসা নীতি কী হয়েছে আমাদের সেটা দেখারই সুযোগ হয়নি। কারণ আমরা নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটের পর প্রার্থী থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবারই ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা আসবেন তাদের সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটাররাও যেন ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। গাজীপুরের মতোই আসন্ন সব নির্বাচন সুষ্ঠু করবে ইসি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করার সবকিছুই করা হবে।
ইসি আলমগীর বলেন, যারা সমালোচনা করেন তারা সবসময়ই সমালোচনা করেন। নির্বাচনে আইন মেনে না চললে তিনি যেই হোন না কেন ইসি ব্যবস্থা নিবে। ফলাফল ঘোষণা নিয়ে তিনি বলেন, চারটি নির্বাচনী এলাকার রেজাল্ট দিতে সময় লাগে। একেকটা পদে অনেকজন করে দাঁড়িয়েছেন তাই ঘোষণা করতে সময় লেগেছে। জনগণকে জানানোর কিছু প্রক্রিয়া আছে। সব যাচাই বাছাই করে দেখার পরই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে ইভিএমের ফলাফল সন্ধ্যার মধ্যেই পেয়ে গেছি।
নির্বাচন কমিশন মুক্ত ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, এজন্য সরকারের কাছ থেকে কোন চাপ কখনোই আসেনি বলে উল্লেখ করেন আলমগীর।
বুধবার (২৪ মে) রাতে এক টুইটবার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের বিষয়ে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারায় একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এ নীতির অধীন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যারা দায়ী বা জড়িত থাকবে, সেসব বাংলাদেশির ভিসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।