সেবাখাতে পরিচালিত অ্যাম্বুলেন্সের আয়করমুক্ত নীতিমালাসহ ছয় দফা দাবিতে আদায়ে সারাদেশে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সোমবার দিনগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলা বন্ধ থাকবে।
রোববার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফার সই করা এক চিঠিতে এসব তথ্য জানা যায়।
তাদের দাবিগুলো হলো- সেবা খাতে অ্যাম্বুলেন্সের প্রাইভেটকারের আয়কর বিআরটিএ কর্তৃক (এআইটি) না নেয়া, অ্যাম্বুলেন্সের জাতীয় নীতিমালা করা, টোল ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স চলাচল, হাসপাতালগুলোতে পার্কিং সুবিধা, রোগী থাকা অবস্থায় দ্রুত গ্যাস ও সড়কে হয়রানিমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করা।
সমিতির নেতারা বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন না। সরকারবিরোধী আন্দোলনও করছি না। আমরা মানবসেবামূলক কাজ করে থাকি। আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া হোক। সরকার যদি আমাদের দাবি মেনে নেয়, তাহলে আমরা কর্মসূচি বাতিল করে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল স্বাভাবিক রাখবো।
আরও পড়ুন…ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা: অগ্নিদগ্ধ সেই চালকের মৃত্যু
তিনি বলেন, হাসপাতাল ও ট্রাস্টি বোর্ডের অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে আয়কর নেওয়া হয় মাত্র ৫২ টাকা। অথচ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে অতীতে নেওয়া হতো ৩০ হাজার টাকা, এ বছর থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়া হবে বলে জানতে পেরেছি। সেবা খাতে একই দেশে দুই ধরনের আইন কী করে হয়, সেটা আমাদের বোধগাম্য নয়।
অন্যদিকে সাধারণ জনগণ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে প্রায়শই হয়রাণী হতে শুনা যায় । বেশকিছু হাসপাতালের কর্মচারীগণ নাম না প্রকাশ করার সর্তে বলেছেন, তারা যখন রোগী নিয়ে আসে তখন রোগী আনা বাবদ টাকা দাবী করে । টাকা দিতে অস্বীকার করলে, হাসপাতাল সম্পর্কে বাজে মন্তব্য ছড়ায় । এতে তারাও বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও প্রায় জিম্মি হয়ে পরেন । এছারাও সরকারি হাসপাতাল গুলোর সামনে অ্যাম্বুলেন্স ভারা করার সময় দেখা যায়, তারা সবাই অযাচিত অপ্রত্যাশিত উচ্চ ভাড়া হাঁকিয়ে, বসে থাকে, এবং সেই ভাড়ার কমে কেউ যেতে চায় না । যা রীতিমত সবাই এক হয়ে সিন্ডিকেট করে চুপচাপ বসে থাকে। ফলে অসহায় গ্রামের রোগীরা বিপদে পরে হয়রানির স্বীকার হন । এছারাও অবৈধ পণ্যসহ মাদক দ্রব্য বহনেও অনেকের বিষয়ে অভিযোগ শুনা যায় । সরেজমিনে তদন্ত করে, সাধারণ জনগণ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা সম্পর্কে এমনটাই মন্তব্য ব্যক্ত করেন ।