ঢাকারবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে: পিটার হাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) চ্যানেল ২৪ কার্যালয়ে এক সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন।

পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় সরকারি দল, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা এসেছে। আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে যারাই বাধা দেবে—সরকারি দল, বিরোধী দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারবিভাগের সদস্য কিংবা গণমাধ্যমকর্মী— সবার বিরুদ্ধেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হবে।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি। তবে কত জনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।

পিটার হাস বলেন, এখানে সংখ্যা নয়, বার্তাটাই গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই আমরা এটা করছি।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের পরিবারের সদস্যরাও ধারাবাহিকভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আসবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন ভিসা নীতি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়।

পিটার হাসের এই বক্তব্যের দুইদিন আগে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায়।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানান, স্টেট ডিপার্টমেন্ট গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকা বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্য রয়েছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমাদের আজকের পদক্ষেপ শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। একইভাবে যারা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সমর্থন করার জন্যও এটি কাজ করবে।

এর আগে, চলতি বছরের ২৪ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। সেখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে দেশটির অব্যাহত নজরদারির বিষয়টি স্পষ্ট করেন।

ভিসা নীতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। আজকের বিবৃতি ওই ঘোষণারই একটি ধাবাহিকতা বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।