জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নয় বছর ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
গত ২ আগস্ট এ মামলায় রায় দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয়।
সোমবার আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে রাজধানীর ভাষানটেক থানার ৬, শহীদ মইনুল রোডের বাড়ির ঠিকানায় তারেক-জুবাইদার পরোয়ানা পাঠানো হয়। এ পরোয়ানা তামিলের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট থানার। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আদালত থেকে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করে তা তামিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদ বিবরণীতে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তারেকের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।