ঢাকারবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারত-কানাডা দ্বন্দ্ব: কাকে বেছে নেবে যুক্তরাষ্ট্র?

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

কানাডা ভারতের বিরুদ্ধে যে লড়াইয়ে মেতেছে, তা হাতির বিরুদ্ধে পিঁপড়ার লড়াইয়ের শামিল মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র কানাডা। ভারতের সঙ্গেও ওয়াশিংটনের উষ্ণ সম্পর্ক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কানাডার চেয়ে ভারতের কৌশলগত গুরুত্ব বেশি।

বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মাইকেল রুবিন আরও বলেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ তুলেছেন, তা দিল্লির চেয়ে অটোয়াকেই বেশি বিপদে ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রকে যদি কানাডা ও ভারতের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হয়, তাহলে ওয়াশিংটন নিশ্চিতভাবে দিল্লিকে বেছে নেবে।

মাইকেল রুবিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর আর পিছু হটার সুযোগ নেই। তিনি কোনো কিছু না ভেবেচিন্তেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেলছেন। সরকারের (ভারত) বিরুদ্ধে তিনি যে অভিযোগ তুলেছেন, তার পক্ষে তার কাছে কোনো প্রমাণ নেই। এ ক্ষেত্রে এ সরকার (কানাডা সরকার) কেন একজন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিচ্ছিল, তার ব্যাখ্যা তাকে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার ধারণা, দুই বন্ধুরাষ্ট্র থেকে একটিকে বেছে নেয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্র যেতে চাইবে না। তবে আমাদের যদি দুই বন্ধুরাষ্ট্র থেকে একটিকে বেছে নিতেই হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে বেছে নেব। কারণ, নিজ্জর একজন সন্ত্রাসী। আর ভারতের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমাদের সম্পর্কটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

জনমত জরিপে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা কমে গেছে উল্লেখ করে রুবিন বলেন, জাস্টিন ট্রুডো সম্ভবত খুব বেশি দিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে গড়ে নিতে পারব।

এর আগে গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে গুরুদুয়ারার সামনে খুন হন হরদীপ সিং। ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টে ভারত দোষারোপ করে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এক বক্তব্যের পর অটোয়া ও দিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়।

তিনি পার্লামেন্টে এক বিবৃতিতে বলেন, শিখ সম্প্রদায়ের নেতা কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতের এজেন্টরা জড়িত। ট্রুডোর বক্তব্যের পর কানাডা ও ভারত দুই দেশের কূটনীতিকদের পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়।