বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেছেন, ‘যারা পেট্রোল পাম্প বন্ধে ধর্মঘট ডেকেছেন তারা অ্যাসোসিয়েশনের কেউ না। তারা ধান্ধাবাজ।’
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
নাজমুল হক জানান, যারা ধর্মঘট ডেকেছেন তারা আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের কেউ না। তারা আগে ছিলেন। এখন কেউ নেই। যারা আগে ছিলেন তাদের একজন তেল পাচারের অভিযোগে সংঘটন থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। বর্তমান পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মিজানুর রহমানকে ২০১৬ সালে অর্থ কেলেঙ্কারির জন্য বহিষ্কার করা হয়।
ধর্মঘটকারীরা জনগণকে জিম্মি করতে চায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এই নিয়ে তারা ২৩ বার ধর্মঘট ডেকেছে। মূলত জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বিপিসিকে চাপে ফেলে সুবিধা আদায় করতে চায় তারা। এদের পেট্রোল পাম্প ছাড়া আরও অনেক ব্যবসা আছে। এসব ব্যবসায় সুবিধা আদায়ের জন্য তারা ধর্মঘট ডেকেছে।’
তবে বরিশাল, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ধর্মঘট নেই জানিয়ে নাজমুল বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে সরকার দলের কিছু লোকের প্রশ্রয়ে ডিপো আটকিয়ে তেল সরবরাহে বাঁধা দেয়া হচ্ছে।’
এছাড়া কোথাও যাতে ধর্মঘট না হয়, তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানান নাজমুল হক। তিনি বলেন, ‘যারা সংঘটনের কেউ না অথচ বিপিসি তাদের নিয়ে বসে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে।’
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে মোহাম্মদ নাজমুল হকের নেতৃত্বে থাকা একাংশ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। আর পেট্রোল পাম্পের মালিকদের অন্য একটি অংশ ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখতে এ হরতাল ডাকে তারা।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন সময় সংবাদকে জানান, আমাদের দাবি তিনটি। এগুলো হলো- জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে গেজেট প্রকাশ করা।