সৌদি আরব সরকার বাংলাদেশসহ বিদেশী শ্রমিকদের মধ্যে যেসব কর্মী নিজ দেশে ছুটি কাটিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সৌদি আরব ফিরে কাজে যোগদান করতে পারছেন না, তাদের আবার দেশটিতে নতুন করে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। সৌদি সরকারের এক ঘোষণায় এমন তথ্যের কথা দেশটিতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে। তবে বিলম্বে তথ্য জানানোর কারণে দূতাবাসের কর্মকাণ্ড নিয়ে কর্মীরা নেতিবাচক মন্তব্য করে চলেছেন।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানানো হয়, সৌদি প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্য যারা ছুটিতে দেশে গিয়ে কোনো কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরে কাজে যোগদান করতে পারেনি, তারা এখন থেকে এক্সিট রি এন্ট্রি ভিসা এক্সপায়ার হওয়ার পর যেকোনো সময় নতুন কাজের ভিসায় আবার সৌদি আরবে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, পূর্বের স্পন্সর বা কোম্পানির অধীনেই সৌদিতে প্রবেশ করতে হবে কিংবা এক্সিট রি এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে তিন বছর পরে আবার প্রবেশ করতে পারবে এমন শর্ত দেশটির সরকার রহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দূতাবাস থেকে এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর দেশ-বিদেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীরা নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ আবার ধন্যবাদ জানিয়ে সৌদি সরকারের আরবিতে দেয়া নতুন ঘোষণাটি বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছেন।
অপরদিকে, প্রবাসীদের সৌদি আরব যাওয়ার ক্ষেত্রে কাজ সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে এবং সংশ্লিষ্ট পেশায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ পরামর্শ দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য যে, অভিবাসীরা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স প্রেরণ করেছেন। একই সময়ে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ৩.০৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স প্রেরিত হয়েছে যা মোট রেমিট্যান্সের ১৬ শতাংশ। তবে সৌদিতে অধিক হারে দক্ষকর্মী নিয়োগ করা হলে আরো বেশি রেমিট্যান্স প্রেরণের সুযোগ রয়েছে বলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়।