ঢাকারবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৯, ২০২৪ ৬:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় এক নারীর করা ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে ১৪ দফায় শেষ পর্যায়ের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এস এম শফিকুল ইসলাম আসামি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় তার এই সাক্ষ্য দেন। মামলার পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আসামির আইনজীবীরা আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে আসামি মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পুনরায় তাকে সেই কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম শফিকুল ইসলাম তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। তদন্তকারী আদালতে জানিয়েছে একটি কক্ষে মামুনুল হক ঝর্ণাকে নিয়ে ওই হোটেলে ৫ ঘণ্টা ছিলেন। মামলার বাদী মামুনুল হকের বন্ধুর স্ত্রী। আদালত যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা মামুনুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ায় তার আইনজীবীরা জেরা কার্যক্রম বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের পূর্ণ সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। আশা করছি দ্রুত মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ হবে।

তবে মামুনুলের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন জানিয়েছেন, মামলার তদন্তকারী সাক্ষ্য প্রদানের সময় তাকে জেরা করা হলে তিনি অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় আলামত কে সংগ্রহ করেছে? তিনি সংগ্রহ করেছেন দাবি করলেও কে সিলগালা করেছে তার সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। আমরা আদালতে এ মামলার জেরার মাধ্যমে সাক্ষীদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সময় চেয়েছি। পাশাপাশি আমরা আদালতে মামুনুল হকের জামিন চেয়েছি। আদালত জানিয়েছে বিষয়টি বিবেচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। এ ঘটনার ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে ওই নারী জান্নাত আরা ঝর্ণা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে মামুনুল হক দাবি করেছিলেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে এমন দাবির স্বপক্ষে মামুনুল হক এখন পর্যন্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি।