ঢাকাশুক্রবার , ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • অন্যান্য
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জীবনধারা
  6. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  7. বিনোদন ভুবন
  8. বিবিধ
  9. ভিডিও নিউজ
  10. রাজধানী
  11. রাজনীতি
  12. শিক্ষা
  13. সর্বশেষ
  14. সারাবাংলা
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ সোমালিয়া উপকূলে নোঙর ; অব্যাহত উদ্ধারের প্রচেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৫, ২০২৪ ১:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ ইতোমধ্যে সোমালিয়ার গারাকাদ বন্দরের কাছে নোঙর করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সোমালিয়ার গারাকাদ বন্দর থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করানো হয়।

বৃহস্প‌তিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলা‌দে‌শি না‌বিক‌দের উদ্ধা‌রে করণীয় নি‌য়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শে‌ষে এ কথা জানান নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।

মহাপ‌রিচালক ব‌লেন, যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে আমরা আশা করছি যে তারা কোনো না কোনো সময় আমাদের কনসার্ন যে অথরিটি অথবা জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তারপর আমরা স্ট্র্যাটেজি সেট করব যে কীভাবে তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন বা অন্যান্য কিছুতে যাব। আপাতত আমরা চিন্তা করছি জাহাজের যারা ক্রু আছে তারা যেন সেফ থাকে।

জাহাজটি কোথায় রয়েছে জান‌তে চাইলে মাকসুদ আলম ব‌লেন, সঠিক জায়গার নাম বলা যাবে না। এটা হচ্ছে ওদের যে সি অ্যারিয়াতে, যেটা দেখা যাচ্ছে তাদের উপকূলের ২০ মাইল দূরে। এখন জাহাজটি চলছে না, নোঙর করা অবস্থায় আছে।

না‌বিক‌দের উদ্ধা‌রে পরবর্তী পদক্ষেপ জান‌তে চাইলে মহাপ‌রিচালক জানান, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটি নির্ভর করে যারা হাইজ্যাক করেছে তারা কীভাবে যোগাযোগ করে এবং কী যোগাযোগ করে সেটার ওপর ভিত্তি করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার এডমিরাল খুরশিদ আলম জানান, জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা।

আর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধারের জন্য সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে সোমালিয়ার জলদস্যুরা ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাচ্ছিল। জলদস্যুদের কবলে পড়া চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের এই জাহাজটি পরিচালনা করছে গ্রুপটির সহযোগী সংস্থা এস আর শিপিং লিমিটেড। জাহাজে ২৩ বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন। এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর গ্রুপটির জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তিন মাসের মাথায় মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি ছাড়িয়ে এনেছিল কবির গ্রুপ

সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুরা প্রস্তুতি কালীন নেয়া ছবি । ছবিঃ সংগৃহীত

সোমালিয়ায় জলদস্যুতা
সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুতা একবিংশ শতকের প্রথম দিকে সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজগুলোর জন্য হয়ে উঠেছে হুমকি স্বরূপ ।গত ২০০৫ সাল থেকে, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা, জলদস্যুতা ঘটনা বৃদ্ধির উপর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যার ফলে ওসানস বিয়ন্ড পাইরেসির এক জরীপ অনুসারে, জলদস্যুতার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক জাহাজ কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত খরচসহ বছরে প্রায় $৬.৬ থেকে ৬.৯ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে যা বিশ্ব বাণিজ্যে প্রভাব ফেলছে।

জার্মান ইন্সটিটিউট ফর ইকনমিক রিসার্চ এর এক জরীপে বলা হয়, জলদস্যুতার বৃদ্ধির ফলে জলদস্যুতার সাথে সম্পর্কিত লাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। বীমা কোম্পানিগুলো জলদস্যু আক্রমণ থেকে মুনাফা অর্জন করছে, জলদস্যুতার প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য বীমার প্রিমিয়ামের পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে।

সুত্রঃপার্সটুডে