রাজধানীতে দুপুর আড়াইটা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা একটানা বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি স্বস্তি বয়ে আনলেও এতে বিভিন্ন সড়কে পানি জমে গেছে। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার প্রধান প্রধান সড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঘরে ফেরা রোজাদাররা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার পর ধানমণ্ডি, গ্রিনরোড, পল্টন, কাকরাইল, ফকিরাপুল, মৌচাক ও মালিবাগ এলকায় দেখা গেছে এ চিত্র।
ওই সময় যানজটে আটকে পড়া লোকজন ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টি শেষ হওয়ার পরপরই এসব এলাকায় তীব্র যানজট শুরু হয়। এক সড়কে যানজটের প্রভাব অন্য সড়কেও ছড়িয়ে যায়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যানজটে আটকে পড়া মানুষের ভোগান্তিও বাড়ে।
পল্টনে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্য এনামুল বলেন, একসঙ্গে অফিস ছুটি ও বৃষ্টিতে আটকে পড়া মানুষ রাস্তায় নেমে আসায় এমন যানজট।
এর আগে বৃষ্টির মধ্যে বাসে উঠতেও বেগ পেতে হয় যাত্রীদের। এ কারণে বৃষ্টি শেষ হওয়ার পরপরই বাসে ভিড় বাড়ে। অফিস থেকে ফেরা অনেককে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। কেউ আবার বেশি ভাড়া দিয়ে রিকশায় বাসায় ফেরেন।
বিকেল সাড়ে ৩টায় কর্মস্থল মতিঝিল থেকে মিরপুরের বাসায় ফিরতে বাসে ওঠেন বিজয় নামের এক চাকুরিজীবী। চল্লিশ মিনিট ধরে তিনি পল্টন মোড়ে যানজটে আটকে আছেন বলে জানান। ফরিদ হোসেন বলেন, ইফতারের আগে মিরপুর পৌঁছানো যাবে কি না জানি না। এক জায়গায় বাস আটকে আছে। এসময় বাস একটুও এগোয়নি।
বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক এলাকার রাস্তায় পনি জমে থাকতে দেখা গেছে। এতে জনদুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। হেঁটে যারা ঘরে ফিরছিলেন তারাও স্বস্তি নিয়ে হাঁটতে পারছিলেন না।
কাকরাইল এলাকায় কথা হয় এক সিএনজি অটোরিকশা চালকের সঙ্গে। তিনি বলেন, শুধু এ এলাকা নয়, সবখানে যানজট লেগে গেছে। এক ঘণ্টার পথ দুই-তিনঘণ্টা লাগছে।