ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব থেকে একটি কার্গো ফ্লাইটের সরাসরি ঢাকায় অবতরণ নিয়ে নানামুখি আলোচনা চলছে কয়েকদিন ধরে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি ইসরায়েল থেকে দুটি ফ্লাইট অবতরণ করেছে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকার পরও কেন শাহজালাল বিমানবন্দরে তাদের ফ্লাইট অবতরণ করলো, এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছে।
এ ব্যাপারে শনিবার ঢাকায় ইসরায়েলের ফ্লাইট অবতরণের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৭ এপ্রিল একটি বিমান তেল আবিব থেকে উড্ডয়ন করে রাত ৯টা ২২ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে। কার্গো নিয়ে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। পরে গত ১১ এপ্রিল আরেকটি ফ্লাইট রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ ও রাত ১২টা ২৯ মিনিটে (১২ এপ্রিল) কার্গো নিয়ে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। দুটি বিমানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইয়েন্সের।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বিমান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী কার্গো ফ্লাইট দুটি ঢাকা এসেছিল। ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্লাইট দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এবং ইউরোপের একটি গন্তব্যে গেছে।
বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো বিমান চলাচল চুক্তি নেই এবং ইসরায়েলের কোনো বিমান বাংলাদেশে অবতরণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান বেবিচকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান।