ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০২৪ : নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান করে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার আজ সন্ধ্যায় শপথ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গতকাল ঢাকা সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আজ রাতে বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
অধ্যাপক ইউনূস আজ বিকেলে দেশে ফেরার কথা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে স্বাগত জানাব।’
অনুষ্ঠানটি রাত ৮ টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, প্রায় ১৫ সদস্য নিয়ে অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা বা উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে। ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রীর সমমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টা হবেন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত না জানিয়ে তিনি ‘এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি’ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, গতকাল বিকেলে মিডিয়ার সামনে উপস্থিত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে তিনি ইউনূসের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। সে সময় তিনি আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্যারিস থেকে দেশে ফেরার পথে ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে এবং আশা করছি তার অধীনে আগামী সরকার বাংলাদেশকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেবে।’
এদিকে ড. ইউনূস এক বিবৃতিতে সবাইকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান এবং যেসব সাহসী ছাত্র আমাদের ‘দ্বিতীয় বিজয়’ সম্ভব করতে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদেরকে এবং তাদের পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার জন্য জনগণকে অভিনন্দন জানান।
ইউনূস সেন্টারের বিবৃতিতে তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘আমরা যেন আমাদের নতুন বিজয়ের সর্বোত্তম ব্যবহার করি। আমাদের ভুলের কারণে যেন এটি আমাদের হাতছাড়া হয়ে না যায়। আমি সবাইকে শান্ত থাকার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি। অনুগ্রহ করে সব ধরনের সহিংসতা থেকে বিরত থাকুন।’
তিনি সকল ছাত্র, সকল রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
এদিকে গণবিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সরকার বিহীন অবস্থায় বাংলাদেশ তৃতীয় দিন পার করেছে।
এদিকে সেনাপ্রধান জামান স্বীকার করেন যে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর লুটপাট ও নৈরাজ্যের ঘটনা ঘটেছে কারণ ‘পুলিশ বাহিনী সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়ে’ এবং নৌ ও বিমান বাহিনীর সৈন্যদের সাথে নিয়ে সামরিক বাহিনীর পক্ষে সৃষ্ট ‘শূন্যতা পূরণ করা’ সম্ভব ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘তবে আমরা অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করতে সব কিছু করব।’
একজন নতুন ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি)নিয়োগ দিয়ে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠিত করা হচ্ছে, যিনি ইতোমধ্যেই সমস্ত পুলিশ সদস্যদের সারা বাংলাদেশে তাদের কর্মস্থলে যোগ দিতে বলেছেন।