চীনে হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগের কারণ হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা এইচএমপিভি’র প্রাদুর্ভাবকে করোনা ভাইরাসের শুরুর সময়ের সাথে তুলনা করার ব্যাপারটাকে নাকচ করেছেন।
এইচএমপিভি সম্পর্কে প্রধান তথ্য
ভাইরাসের প্রকৃতি: এইচএমপিভি ফ্লু ভাইরাসের মতো, যা সাধারণত উপরের শ্বাসনালিতে সংক্রমণ ঘটায়। এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ায় এবং ময়লা-আবর্জনায় হাত দিলেও সংক্রমণ হতে পারে।
লক্ষণ: সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে কাশি, জ্বর এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া অন্তর্ভুক্ত। লক্ষণগুলো সাধারণ ঠাণ্ডা বা ফ্লুর মতো। শিশু, বৃদ্ধ এবং যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তাদের মধ্যে এই লক্ষণগুলি গুরুতর হতে পারে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে অবস্থান করা। কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা। নিয়মিত হাত ধোয়া।
আক্রান্তদের পরামর্শ: বিশ্রাম নেওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা। এমন কিছু এড়ানো যাতে ভাইরাসটি অন্যদের মধ্যে ছড়ায়।
বিশেষজ্ঞ মতামত: প্রফেসর জন ট্রিগোনিং: এইচএমপিভিকে পরিচিত ভাইরাসের সাথে তুলনা করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে এটি দশক ধরে চলছে, যেখানে করোনা ভাইরাস ছিল নতুন।
- প্রফেসর পল হান্টার: উল্লেখ করেছেন যে প্রায় সকল শিশু তাদের পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে একবার এইচএমপিভি’তে আক্রান্ত হয়, এবং জীবনের বিভিন্ন সময়ে অনেকেই পুনরায় আক্রান্ত হয়।
চীনের পদক্ষেপ: অজানা কারণে নিউমোনিয়ার উপর নজরদারি বৃদ্ধি। প্রচলিত প্রতিরোধ উপায়ের উন্নতি। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রবণতা বৃদ্ধি, রাইনোভাইরাসের প্রবণতা হ্রাস এবং ১৪ বছরের নিচে শিশুদের মধ্যে এইচএমপিভি’এর সংক্রমণ বৃদ্ধি।